এ অধ্যায়ের বিষয়সমূহ
Toggleমিথ্যাচার, বিভ্রান্তি ও সীমালংঘনের জবাবে পবিত্র কুরআন
فَمَنْ اَظْلَمُ مِمَّنْ كَذَبَ عَلَی اللّٰهِ وَ كَذَّبَ بِالصِّدْقِ اِذْ جَآءَہٗ ؕ اَلَیْسَ فِیْ جَهَنَّمَ مَثْوًی لِّلْکٰفِرِیْنَ
“যে ব্যক্তি আল্লাহর বিরুদ্ধে মিথ্যা বলে এবং তার কাছে সত্য আগমন করার পর তাকে মিথ্যা সাব্যস্ত করে, তার চেয়ে অধিক যালেম আর কে হবে? কাফেরদের বাসস্থান জাহান্নামে নয় কি।” (৩৯:৩২)
পথভ্রষ্ট মানব সমাজ যুগে যুগে শুধু কুফরীই করেনি তারা আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীনের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করেছে, অপবাদ ও বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে এবং সীমালংঘনজনিত অপরাধে লিপ্ত হয়েছে। এরা সবাই আল্লাহ্ তায়ালার বিরাগভাজন হয়েছে এবং তাদের পরিণতি হয়েছে দুঃখজনক। নবী–রসূলগণ তাদেরকে বারবার সতর্ক করেছেন। যারা এরপরও সাবধানতা অবলম্বন করেনি, বরং ধৃষ্টতা ও অহংকার প্রদর্শন করেছে – তাদেরকেই আল্লাহ্ তায়ালা কঠোর শাস্তির দ্বারা পাকড়াও করেছেন। পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন আয়াতে তিনি এদের দুঃখজনক পরিণতির বর্ণনা দিয়েছেন। এতদসম্পৃক্ত আয়াতগুলো নিম্নে উদ্ধৃত করা হলো:
فَمَنْ اَظْلَمُ مِمَّنِ افْتَرٰی عَلَی اللّٰهِ كَذِبًا لِّیُضِلَّ النَّاسَ بِغَیْرِ عِلْمٍ ؕ اِنَّ اللّٰهَ لَا یَہْدِی الْقَوْمَ الظّٰلِمِیْنَ
….. “অতএব সে ব্যক্তি অপেক্ষা বেশী অত্যচারী কে, যে আল্লাহ সম্পর্কে মিথ্যা ধারণা পোষণ করে যাতে করে মানুষকে বিনা প্রমাণে পথভ্রষ্ট করতে পারে? নিশ্চয় আল্লাহ অত্যাচারী সম্প্রদায়কে পথপ্রদর্শন করেন না।” (৬:১৪৪)
وَ لَا تَلْبِسُوا الْحَقَّ بِالْبَاطِلِ وَ تَکْتُمُوا الْحَقَّ وَ اَنْتُمْ تَعْلَمُوْنَ
“তোমরা মিথ্যার আবরণে সত্যকে আবৃত করোনা এবং জানা সত্ত্বেও সত্যকে তোমরা গোপন করো না।” (২:৪২)
وَیْلٌ یَّوْمَئِذٍ لِّلْمُكَذِّبِیْنَ کُلُوْا وَ تَمَتَّعُوْا قَلِیْلًا اِنَّکُمْ مُّجْرِمُوْنَ وَیْلٌ یَّوْمَئِذٍ لِّلْمُكَذِّبِیْنَ وَ اِذَا قِیْلَ لَهُمُ ارْكَعُوْا لَا یَرْكَعُوْنَ وَیْلٌ یَّوْمَئِذٍ لِّلْمُكَذِّبِیْنَ فَبِاَیِّ حَدِیْثٍۭ بَعْدَہٗ یُؤْمِنُوْنَ
“সেদিন দুর্ভোগ মিথ্যারোপকারীদের জন্যে। কাফেরগণ, তোমরা কিছুদিন খেয়ে নাও এবং ভোগ করে নাও। তোমরা তো অপরাধী। সেদিন মিথ্যারোপকারীদের দুর্ভোগ হবে। যখন তাদেরকে বলা হয়, নত হও, তখন তারা নত হয় না। সেদিন মিথ্যারোপকারীদের দুর্ভোগ হবে। এখন কোন কথায় তারা এরপর বিশ্বাস স্থাপন করবে।” (৭৭:৪৫ – ৫০)
یَوْمَ یَبْعَثُهُمُ اللّٰهُ جَمِیْعًا فَیَحْلِفُوْنَ لَہٗ كَمَا یَحْلِفُوْنَ لَکُمْ وَ یَحْسَبُوْنَ اَنَّهُمْ عَلٰی شَیْءٍ ؕ اَلَاۤ اِنَّهُمْ هُمُ الْکٰذِبُوْنَ اِسْتَحْوَذَ عَلَیْهِمُ الشَّیْطٰنُ فَاَنْسٰهُمْ ذِکْرَ اللّٰهِ ؕ اُولٰٓئِكَ حِزْبُ الشَّیْطٰنِ ؕ اَلَاۤ اِنَّ حِزْبَ الشَّیْطٰنِ هُمُ الْخٰسِرُوْنَ
“যেদিন আল্লাহ তাদের সকলকে পুনরুত্থিত করবেন। অতঃপর তারা আল্লাহর সামনে শপথ করবে, যেমন তোমাদের সামনে শপথ করে। তারা মনে করবে যে, তারা কিছুটা সৎপথে আছে। সাবধান, তারাই তো আসল মিথ্যাবাদী। শয়তান তাদেরকে বশীভূত করে নিয়েছে, অতঃপর আল্লাহর স্মরণ ভুলিয়ে দিয়েছে। তারা শয়তানের দল। সাবধান, শয়তানের দলই ক্ষতিগ্রস্ত।” (৫৮:১৮ – ১৯)
وَ الَّذِیْنَ كَذَّبُوْا بِاٰیٰتِنَا وَ اسْتَکْبَرُوْا عَنْهَاۤ اُولٰٓئِكَ اَصْحٰبُ النَّارِ ۚ هُمْ فِیْهَا خٰلِدُوْنَ فَمَنْ اَظْلَمُ مِمَّنِ افْتَرٰی عَلَی اللّٰهِ كَذِبًا اَوْ كَذَّبَ بِاٰیٰتِہٖ ؕ اُولٰٓئِكَ یَنَالُهُمْ نَصِیْبُهُمْ مِّنَ الْكِتٰبِ ؕ حَتّٰۤی اِذَا جَآءَتْهُمْ رُسُلُنَا یَتَوَفَّوْنَهُمْ ۙ قَالُوْۤا اَیْنَ مَا کُنْتُمْ تَدْعُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ ؕ قَالُوْا ضَلُّوْا عَنَّا وَ شَهِدُوْا عَلٰۤی اَنْفُسِهِمْ اَنَّهُمْ كَانُوْا کٰفِرِیْنَ
“যারা আমার আয়াতসমূহকে মিথ্যা বলবে এবং তা থেকে অহংকার করবে, তারাই দোযখী এবং তথায় চিরকাল থাকবে। অতঃপর ঐ ব্যক্তির চাইতে অধিক জালেম কে, যে আল্লাহর প্রতি মিথ্যা আরোপ করে অথবা তার নির্দেশাবলীকে মিথ্যা বলে? তারা তাদের গ্রন্থে লিখিত অংশ পেয়ে যাবে। এমন কি, যখন তাদের কাছে আমার প্রেরিত ফেরশতারা প্রাণ নেওয়ার জন্যে পৌঁছে, তখন তারা বলে; তারা কোথায় গেল, যাদের কে তোমরা আল্লাহ ব্যতীত আহ্বান করতে? তারা উত্তর দেবে: আমাদের কাছ থেকে উধাও হয়ে গেছে, তারা নিজেদের সম্পর্কে স্বীকার করবে যে, তারা অবশ্যই কাফের ছিল।” (৭:৩৬ – ৩৭)
وَ اِذَا فَعَلُوْا فَاحِشَۃً قَالُوْا وَجَدْنَا عَلَیْهَاۤ اٰبَآءَنَا وَ اللّٰهُ اَمَرَنَا بِهَا ؕ قُلْ اِنَّ اللّٰهَ لَا یَاْمُرُ بِالْفَحْشَآءِ ؕ اَتَقُوْلُوْنَ عَلَی اللّٰهِ مَا لَا تَعْلَمُوْنَ
“তারা যখন কোন মন্দ কাজ করে, তখন বলে আমরা বাপ-দাদাকে এমনি করতে দেখেছি এবং আল্লাহও আমাদেরকে এ নির্দেশই দিয়েছেন। আল্লাহ মন্দকাজের আদেশ দেন না। এমন কথা আল্লাহর প্রতি কেন আরোপ কর, যা তোমরা জান না।” (৭:২৮)
وَ الَّذِیْنَ كَذَّبُوْا بِاٰیٰتِنَا صُمٌّ وَّ بُکْمٌ فِی الظُّلُمٰتِ ؕ مَنْ یَّشَاِ اللّٰهُ یُضْلِلْهُ ؕ وَ مَنْ یَّشَاْ یَجْعَلْهُ عَلٰی صِرَاطٍ مُّسْتَقِیْمٍ
“যারা আমার নিদর্শনসমূহকে মিথ্যা বলে, তারা অন্ধকারের মধ্যে মূক ও বধির। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পথভ্রষ্ট করেন এবং যাকে ইচ্ছা সরল পথে পরিচালিত করেন।” (৬:৩৯)
وَ مَنْ اَظْلَمُ مِمَّنِ افْتَرٰی عَلَی اللّٰهِ كَذِبًا اَوْ قَالَ اُوْحِیَ اِلَیَّ وَ لَمْ یُوْحَ اِلَیْهِ شَیْءٌ وَّ مَنْ قَالَ سَاُنْزِلُ مِثْلَ مَاۤ اَنْزَلَ اللّٰهُ ؕ وَ لَوْ تَرٰۤی اِذِ الظّٰلِمُوْنَ فِیْ غَمَرٰتِ الْمَوْتِ وَ الْمَلٰٓئِكَۃُ بَاسِطُوْۤا اَیْدِیْهِمْ ۚ اَخْرِجُوْۤا اَنْفُسَکُمْ ؕ اَلْیَوْمَ تُجْزَوْنَ عَذَابَ الْهُوْنِ بِمَا کُنْتُمْ تَقُوْلُوْنَ عَلَی اللّٰهِ غَیْرَ الْحَقِّ وَ کُنْتُمْ عَنْ اٰیٰتِہٖ تَسْتَکْبِرُوْنَ
“ঐ ব্যক্তির চাইতে বড় জালেম কে হবে, যে আল্লাহর প্রতি মিথ্যা আরোপ করে অথবা বলে: আমার প্রতি ওহী অবতীর্ণ হয়েছে। অথচ তার প্রতি কোন ওহী আসেনি এবং যে দাবী করে যে, আমিও নাযিল করে দেখাচ্ছি যেমন আল্লাহ নাযিল করেছেন। যদি আপনি দেখেন যখন জালেমরা মৃত্যু যন্ত্রণায় থাকে এবং ফেরেশতারা স্বীয় হস্ত প্রসারিত করে বলে, বের কর স্বীয় আত্মা! অদ্য তোমাদেরকে অবমাননাকর শাস্তি প্রদান করা হবে। কারণ, তোমরা আল্লাহর উপর অসত্য বলতে এবং তাঁর আয়াতসমূহ থেকে অহংকার করতে।” (৬:৯৩)
وَ یَوْمَ الْقِیٰمَۃِ تَرَی الَّذِیْنَ كَذَبُوْا عَلَی اللّٰهِ وُجُوْهُهُمْ مُّسْوَدَّۃٌ ؕ اَلَیْسَ فِیْ جَهَنَّمَ مَثْوًی لِّلْمُتَكَبِّرِیْنَ
“যারা আল্লাহর প্রতি মিথ্যা আরোপ করে, কেয়ামতের দিন আপনি তাদের মুখ কাল দেখবেন। অহংকারীদের আবাসস্থল জাহান্নামে নয় কি।” (৩৯:৬০)
تِلْكَ اٰیٰتُ اللّٰهِ نَتْلُوْهَا عَلَیْكَ بِالْحَقِّ ۚ فَبِاَیِّ حَدِیْثٍۭ بَعْدَ اللّٰهِ وَ اٰیٰتِہٖ یُؤْمِنُوْنَ وَیْلٌ لِّکُلِّ اَفَّاکٍ اَثِیْمٍ یَّسْمَعُ اٰیٰتِ اللّٰهِ تُتْلٰی عَلَیْهِ ثُمَّ یُصِرُّ مُسْتَکْبِرًا كَاَنْ لَّمْ یَسْمَعْهَا ۚ فَبَشِّرْهُ بِعَذَابٍ اَلِیْمٍ وَ اِذَا عَلِمَ مِنْ اٰیٰتِنَا شَیْئَۨا اتَّخَذَهَا هُزُوًا ؕ اُولٰٓئِكَ لَهُمْ عَذَابٌ مُّهِیْنٌ
“এগুলো আল্লাহর আয়াত, যা আমি আপনার কাছে আবৃত্তি করি যথাযথরূপে। অতএব, আল্লাহ ও তাঁর আয়াতের পর তারা কোন কথায় বিশ্বাস স্থাপন করবে? প্রত্যেক মিথ্যাবাদী পাপাচারীর দুর্ভোগ। সে আল্লাহর আয়াতসমূহ শুনে, অতঃপর অহংকারী হয়ে জেদ ধরে, যেন সে আয়াত শুনেনি। অতএব, তাকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির সুসংবাদ দিন। যখন সে আমার কোন আয়াত অবগত হয়, তখন তাকে ঠাট্টারূপে গ্রহণ করে। এদের জন্যই রয়েছে লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি।” (৪৫:৬ – ৯)
وَ كَذَّبَ بِہٖ قَوْمُكَ وَ هُوَ الْحَقُّ ؕ قُلْ لَّسْتُ عَلَیْکُمْ بِوَكِیْلٍ لِکُلِّ نَبَاٍ مُّسْتَقَرٌّ ۫ وَّ سَوْفَ تَعْلَمُوْنَ
“আপনার সম্প্রদায় একে (কুরআন) মিথ্যা বলছে, অথচ তা সত্য। আপনি বলে দিন: আমি তোমাদের কার্যনির্বাহক নই। প্রত্যেক খবরের একটি সময় নির্দিষ্ট রয়েছে এবং অচিরেই তোমরা তা জেনে নিবে।” (৬:৬৬ – ৬৭)
وَ مَا بِکُمْ مِّنْ نِّعْمَۃٍ فَمِنَ اللّٰهِ ثُمَّ اِذَا مَسَّکُمُ الضُّرُّ فَاِلَیْهِ تَجْـَٔرُوْنَ ثُمَّ اِذَا كَشَفَ الضُّرَّ عَنْکُمْ اِذَا فَرِیْقٌ مِّنْکُمْ بِرَبِّهِمْ یُشْرِکُوْنَ لِیَکْفُرُوْا بِمَاۤ اٰتَیْنٰهُمْ ؕ فَتَمَتَّعُوْا ۟ فَسَوْفَ تَعْلَمُوْنَ وَ یَجْعَلُوْنَ لِمَا لَا یَعْلَمُوْنَ نَصِیْبًا مِّمَّا رَزَقْنٰهُمْ ؕ تَاللّٰهِ لَتُسْـَٔلُنَّ عَمَّا کُنْتُمْ تَفْتَرُوْنَ
“তোমাদের কাছে যে সমস্ত নেয়ামত আছে, তা আল্লাহরই পক্ষ থেকে। অতঃপর তোমরা যখন দুঃখে-কষ্টে পতিত হও তখন তাঁরই নিকট কান্নাকাটি কর। এরপর যখন আল্লাহ তোমাদের কষ্ট দূরীভূত করে দেন, তখনই তোমাদের একদল স্বীয় পালনকর্তার সাথে অংশীদার সাব্যস্ত করতে থাকে। যাতে ঐ নেয়ামত অস্বীকার করে, যা আমি তাদেরকে দিয়েছি। অতএব মজা ভোগ করে নাও – সত্বরই তোমরা জানতে পারবে। তারা আমার দেয়া জীবনোপকরণ থেকে তাদের জন্যে একটি অংশ নির্ধারিত করে, যাদের কোন খবরই তারা রাখে না। আল্লাহর কসম, তোমরা যে অপবাদ আরোপ করছ, সে সম্পর্কে অবশ্যই জিজ্ঞাসিত হবে।” (১৬:৫৩ – ৫৬)
وَ لَا تَقُوْلُوْا لِمَا تَصِفُ اَلْسِنَتُکُمُ الْكَذِبَ هٰذَا حَلٰلٌ وَّ هٰذَا حَرَامٌ لِّتَفْتَرُوْا عَلَی اللّٰهِ الْكَذِبَ ؕ اِنَّ الَّذِیْنَ یَفْتَرُوْنَ عَلَی اللّٰهِ الْكَذِبَ لَا یُفْلِحُوْنَ مَتَاعٌ قَلِیْلٌ ۪ وَّ لَهُمْ عَذَابٌ اَلِیْمٌ
“তোমাদের মুখ থেকে সাধারণত যেসব মিথ্যা বের হয়ে আসে তেমনি করে তোমরা আল্লাহর বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ আরোপ করে বল না যে, এটা হালাল এবং ওটা হারাম। নিশ্চয় যারা আল্লাহর বিরুদ্ধে মিথ্যা আরোপ করে, তাদের মঙ্গল হবে না। যৎসামান্য সুখ–সম্ভোগ ভোগ করে নিক। তাদের জন্যে যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি রয়েছে।” (১৬:১১৬ – ১১৭)
وَ مَنْ اَظْلَمُ مِمَّنِ افْتَرٰی عَلَی اللّٰهِ كَذِبًا اَوْ كَذَّبَ بِالْحَقِّ لَمَّا جَآءَہٗ ؕ اَلَیْسَ فِیْ جَهَنَّمَ مَثْوًی لِّلْکٰفِرِیْنَ
“যে আল্লাহ সম্পর্কে মিথ্যা কথা গড়ে অথবা তার কাছে সত্য আসার পর তাকে অস্বীকার করে, তার কি স্মরণ রাখা উচিত নয় যে, জাহান্নামই সেসব কাফেরের আশ্রয়স্থল হবে।” (২৯:৬৮)
يَدْعُو مِن دُونِ اللَّهِ مَا لَا يَضُرُّهُ وَمَا لَا يَنفَعُهُ ۚ ذَٰلِكَ هُوَ الضَّلَالُ الْبَعِيدُ“সে আল্লাহর পরিবর্তে এমন কিছুকে ডাকে, যে তার অপকার করতে পারে না এবং উপকারও করতে পারে না। এটাই চরম পথভ্রষ্টতা।” (২২:১২)وَ اِنْ تَعْجَبْ فَعَجَبٌ قَوْلُهُمْ ءَ اِذَا کُنَّا تُرٰبًا ءَ اِنَّا لَفِیْ خَلْقٍ جَدِیْدٍ ۬ؕ اُولٰٓئِكَ الَّذِیْنَ كَفَرُوْا بِرَبِّهِمْ ۚ وَ اُولٰٓئِكَ الْاَغْلٰلُ فِیْۤ اَعْنَاقِهِمْ ۚ وَ اُولٰٓئِكَ اَصْحٰبُ النَّارِ ۚ هُمْ فِیْهَا خٰلِدُوْنَ وَ یَسْتَعْجِلُوْنَكَ بِالسَّیِّئَۃِ قَبْلَ الْحَسَنَۃِ وَ قَدْ خَلَتْ مِنْ قَبْلِهِمُ الْمَثُلٰتُ ؕ وَ اِنَّ رَبَّكَ لَذُوْ مَغْفِرَۃٍ لِّلنَّاسِ عَلٰی ظُلْمِهِمْ ۚ وَ اِنَّ رَبَّكَ لَشَدِیْدُ الْعِقَابِ
“যদি আপনি বিস্ময়ের বিষয় চান, তবে তাদের একথা বিস্ময়কর যে, আমরা যখন মাটি হয়ে যাব, তখনও কি নতুন ভাবে সৃজিত হব? এরাই স্বীয় পালনকর্তার সত্তায় অবিশ্বাসী হয়ে গেছে, এদের গর্দানেই লৌহ-শৃংখল পড়বে এবং এরাই দোযখী এরা তাতে চিরকাল থাকবে। এরা আপনার কাছে মঙ্গলের পরিবর্তে দ্রুত অমঙ্গল কামনা করে। তাদের পূর্বে অনুরূপ অনেক শাস্তিপ্রাপ্ত জনগোষ্ঠী অতিক্রান্ত হয়েছে। আপনার পালনকর্তা মানুষকে তাদের সীমালংঘন সত্ত্বেও ক্ষমা করেন এবং আপনার পালনকর্তা কঠিন শাস্তিদাতাও বটে।” (১৩:৫ – ৬)
وَ یَوْمَ نَحْشُرُ مِنْ کُلِّ اُمَّۃٍ فَوْجًا مِّمَّنْ یُّكَذِّبُ بِاٰیٰتِنَا فَهُمْ یُوْزَعُوْنَ حَتّٰۤی اِذَا جَآءُوْ قَالَ اَكَذَّبْتُمْ بِاٰیٰتِیْ وَ لَمْ تُحِیْطُوْا بِهَا عِلْمًا اَمَّا ذَا کُنْتُمْ تَعْمَلُوْنَ وَ وَقَعَ الْقَوْلُ عَلَیْهِمْ بِمَا ظَلَمُوْا فَهُمْ لَا یَنْطِقُوْنَ
“ যেদিন (ক্বিয়ামতের দিবসে) আমি একত্রিত করব একেকটি দলকে সেসব সম্প্রদায় থেকে, যারা আমার আয়াতসমূহকে মিথ্যা বলত; অতঃপর তাদেরকে বিভিন্ন দলে বিভক্ত করা হবে। যখন তারা উপস্থিত হয়ে যাবে, তখন আল্লাহ বলবেন, তোমরা কি আমার আয়াতসমূহকে মিথ্যা বলেছিলে? অথচ এগুলো সম্পর্কে তোমাদের পূর্ণ জ্ঞান ছিল না – না তোমরা অন্য কিছু করছিলে? জুলুমের কারণে তাদের কাছে আযাবের ওয়াদা এসে গেছে। এখন তারা কোন কিছু বলতে পারবে না। (২৭:৮৩ – ৮৫)
اِنَّ الَّذِیْنَ كَذَّبُوْا بِاٰیٰتِنَا وَ اسْتَکْبَرُوْا عَنْهَا لَا تُفَتَّحُ لَهُمْ اَبْوَابُ السَّمَآءِ وَ لَا یَدْخُلُوْنَ الْجَنَّۃَ حَتّٰی یَلِجَ الْجَمَلُ فِیْ سَمِّ الْخِیَاطِ ؕ وَ كَذٰلِكَ نَجْزِی الْمُجْرِمِیْنَ لَهُمْ مِّنْ جَهَنَّمَ مِهَادٌ وَّ مِنْ فَوْقِهِمْ غَوَاشٍ ؕ وَ كَذٰلِكَ نَجْزِی الظّٰلِمِیْنَ
“নিশ্চয়ই যারা আমার আয়াতসমূহকে মিথ্যা বলেছে এবং এগুলো থেকে অহংকার করেছে, তাদের জন্যে আকাশের দ্বার উম্মুক্ত করা হবে না এবং তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে না। যে পর্যন্ত না সূচের ছিদ্র দিয়ে উট প্রবেশ করে। আমি এমনিভাবে পাপীদেরকে শাস্তি প্রদান করি। তাদের জন্যে নরকাগ্নির শয্যা রয়েছে এবং উপর থেকে চাদর। আমি এমনিভাবে জালেমদেরকে শাস্তি প্রদান করি।” (৭:৪০ – ৪১)
قَدْ خَلَتْ مِنْ قَبْلِکُمْ سُنَنٌ ۙ فَسِیْرُوْا فِی الْاَرْضِ فَانْظُرُوْا كَیْفَ كَانَ عَاقِبَۃُ الْمُكَذِّبِیْنَ
“তোমাদের আগে অতীত হয়েছে অনেক ধরনের জীবনাচরণ। তোমরা পৃথিবীতে ভ্রমণ কর এবং দেখ যারা মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে তাদের পরিণতি কি হয়েছে।” (৩:১৩৭)
وَ قَوْمَ نُوْحٍ لَّمَّا كَذَّبُوا الرُّسُلَ اَغْرَقْنٰهُمْ وَ جَعَلْنٰهُمْ لِلنَّاسِ اٰیَۃً ؕ وَ اَعْتَدْنَا لِلظّٰلِمِیْنَ عَذَابًا اَلِیْمًا
“নূহের সম্প্রদায় যখন রসূলগণের প্রতি মিথ্যারোপ করল, তখন আমি তাদেরকে নিমজ্জত করলাম এবং তাদেরকে মানবমন্ডলীর জন্যে নিদর্শন করে দিলাম। জালেমদের জন্যে আমি যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছি।” (২৫:৩৭)
كَذَّبَتْ عَادٌ فَكَیْفَ كَانَ عَذَابِیْ وَ نُذُرِ اِنَّاۤ اَرْسَلْنَا عَلَیْهِمْ رِیْحًا صَرْصَرًا فِیْ یَوْمِ نَحْسٍ مُّسْتَمِرٍّ تَنْزِعُ النَّاسَ ۙ كَاَنَّهُمْ اَعْجَازُ نَخْلٍ مُّنْقَعِرٍ
“আদ সম্প্রদায় মিথ্যারোপ করেছিল, অতঃপর কেমন কঠোর হয়েছিল আমার শাস্তি ও সতর্কবাণী। আমি তাদের উপর প্রেরণ করেছিলাম ঝঞ্জাবায়ু এক চিরাচরিত অশুভ দিনে। তা মানুষকে উৎখাত করছিল, যেন তারা উৎপাটিত খর্জুর বৃক্ষের কান্ড।” (৫৪:১৮- ২০)
كَذَّبَتْ ثَمُوْدُ بِالنُّذُرِ فَقَالُوْۤا اَبَشَرًا مِّنَّا وَاحِدًا نَّتَّبِعُہٗۤ ۙ اِنَّاۤ اِذًا لَّفِیْ ضَلٰلٍ وَّ سُعُرٍ ءَاُلْقِیَ الذِّکْرُ عَلَیْهِ مِنْۢ بَیْنِنَا بَلْ هُوَ كَذَّابٌ اَشِرٌ
“সামুদ সম্প্রদায় সতর্ককারীদের প্রতি মিথ্যারোপ করেছিল। তারা বলেছিল: আমরা কি আমাদেরই একজনের অনুসরণ করব? তবে তো আমরা বিপথগামী ও বিকারগ্রস্তরূপে গণ্য হব। আমাদের মধ্যে কি তারই প্রতি উপদেশ নাযিল করা হয়েছে? বরং সে একজন মিথ্যাবাদী, দাম্ভিক।” (৫৪:২৩ – ২৫)
وَ لَقَدْ جَآءَ اٰلَ فِرْعَوْنَ النُّذُرُ كَذَّبُوْا بِاٰیٰتِنَا کُلِّهَا فَاَخَذْنٰهُمْ اَخْذَ عَزِیْزٍ مُّقْتَدِرٍ
“ফেরাউন সম্প্রদায়ের কাছেও সতর্ককারীগণ আগমন করেছিল। তারা আমার সকল নিদর্শনের প্রতি মিথ্যারোপ করেছিল। অতঃপর আমি পরাভূতকারী, পরাক্রমশালীর ন্যায় তাদেরকে পাকড়াও করলাম।” (৫৪:৪১ – ৪২)
وَ مَنْ اَظْلَمُ مِمَّنِ افْتَرٰی عَلَی اللّٰهِ كَذِبًا ؕ اُولٰٓئِكَ یُعْرَضُوْنَ عَلٰی رَبِّهِمْ وَ یَقُوْلُ الْاَشْهَادُ هٰۤؤُلَآءِ الَّذِیْنَ كَذَبُوْا عَلٰی رَبِّهِمْ ۚ اَلَا لَعْنَۃُ اللّٰهِ عَلَی الظّٰلِمِیْنَ
“আর তাদের চেয়ে বড় যালেম কে হতে পারে, যারা আল্লাহর প্রতি মিথ্যারোপ করে। এসব লোককে তাদের পালনকর্তার সাক্ষাত সম্মুখীন করা হবে আর সাক্ষীগণ বলতে থাকবে, এরাই ঐসব লোক, যারা তাদের পালনকর্তার প্রতি মিথ্যারোপ করেছিল। শুনে রাখ, যালেমদের উপর আল্লাহর অভিসম্পাত রয়েছে।” (১১:১৮)
وَیْلٌ یَّوْمَئِذٍ لِّلْمُكَذِّبِیْنَ الَّذِیْنَ یُكَذِّبُوْنَ بِیَوْمِ الدِّیْنِ وَ مَا یُكَذِّبُ بِہٖۤ اِلَّا کُلُّ مُعْتَدٍ اَثِیْمٍ اِذَا تُتْلٰی عَلَیْهِ اٰیٰتُنَا قَالَ اَسَاطِیْرُ الْاَوَّلِیْنَ كَلَّا بَلْ ٜ رَانَ عَلٰی قُلُوْبِهِمْ مَّا كَانُوْا یَکْسِبُوْنَ كَلَّاۤ اِنَّهُمْ عَنْ رَّبِّهِمْ یَوْمَئِذٍ لَّمَحْجُوْبُوْنَ ثُمَّ اِنَّهُمْ لَصَالُوا الْجَحِیْمِ ثُمَّ یُقَالُ هٰذَا الَّذِیْ کُنْتُمْ بِہٖ تُكَذِّبُوْنَ
“সেদিন দুর্ভোগ মিথ্যারোপকারীদের, যারা প্রতিফল দিবসকে মিথ্যারোপ করে। প্রত্যেক সীমালংঘনকারী পাপিষ্ঠই কেবল একে মিথ্যারোপ করে। তার কাছে আমার আয়াতসমূহ পাঠ করা হলে সে বলে, পুরাকালের উপকথা। কখনও না, বরং তারা যা করে, তাই তাদের হৃদয় মরিচা ধরিয়ে দিয়েছে। কখনও না, তারা সেদিন তাদের পালনকর্তার থেকে পর্দার অন্তরালে থাকবে। অতঃপর তারা জাহান্নামে প্রবেশ করবে। এরপর বলা হবে, একেই তো তোমরা মিথ্যারোপ করতে।” (৮৩:১০ – ১৭)
کُلُّ الطَّعَامِ كَانَ حِلًّا لِّبَنِیْۤ اِسْرَآءِیْلَ اِلَّا مَا حَرَّمَ اِسْرَآءِیْلُ عَلٰی نَفْسِہٖ مِنْ قَبْلِ اَنْ تُنَزَّلَ التَّوْرٰىۃُ ؕ قُلْ فَاْتُوْا بِالتَّوْرٰىۃِ فَاتْلُوْهَاۤ اِنْ کُنْتُمْ صٰدِقِیْنَ فَمَنِ افْتَرٰی عَلَی اللّٰهِ الْكَذِبَ مِنْۢ بَعْدِ ذٰلِكَ فَاُولٰٓئِكَ هُمُ الظّٰلِمُوْنَ
“তওরাত নাযিল হওয়ার পূর্বে ইয়াকুব যেগুলো নিজেদের জন্য হারাম করে নিয়েছিলেন, সেগুলো ব্যতীত সমস্ত আহার্য বস্তুই বনী–ইসরায়ীলদের জন্য হালাল ছিল। বলে দিন, তোমরা যদি সত্যবাদী হয়ে থাক, তাহলে তওরাত নিয়ে এসো এবং তা পাঠ কর। অতঃপর আল্লাহর প্রতি যারা মিথ্যা আরোপ করেছে, তারাই যালেম সীমালংঘনকারী।” (৩:৯৩ – ৯৪)
یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا لَا تَتَّخِذُوْۤا اٰبَآءَکُمْ وَ اِخْوَانَکُمْ اَوْلِیَآءَ اِنِ اسْتَحَبُّوا الْکُفْرَ عَلَی الْاِیْمَانِ ؕ وَ مَنْ یَّتَوَلَّهُمْ مِّنْکُمْ فَاُولٰٓئِكَ هُمُ الظّٰلِمُوْنَ
“হে ঈমানদারগণ! তোমরা স্বীয় পিতা ও ভাইদের অভিভাবকরূপে গ্রহণ করো না, যদি তারা ঈমান অপেক্ষা কুফরকে ভালবাসে। আর তোমাদের যারা তাদের অভিভাবকরূপে গ্রহণ করে তারা সীমালংঘনকারী।” (৯:২৩)
بَلِ اتَّبَعَ الَّذِیْنَ ظَلَمُوْۤا اَهْوَآءَهُمْ بِغَیْرِ عِلْمٍ ۚ فَمَنْ یَّہْدِیْ مَنْ اَضَلَّ اللّٰهُ ؕ وَ مَا لَهُمْ مِّنْ نّٰصِرِیْنَ
“বরং যারা সীমালংঘনকারী, তারা অজ্ঞানতাবশতঃ তাদের খেয়াল–খুশীর অনুসরণ করে থাকে। অতএব, আল্লাহ যাকে পথভ্রষ্ট করেন, তাকে কে বোঝাবে? তাদের কোন সাহায্যকারী নেই …।” (৩০:২৯)
وَ مَنْ اَظْلَمُ مِمَّنْ ذُكِرَ بِاٰیٰتِ رَبِّہٖ فَاَعْرَضَ عَنْهَا وَ نَسِیَ مَا قَدَّمَتْ یَدٰهُ ؕ اِنَّا جَعَلْنَا عَلٰی قُلُوْبِهِمْ اَكِنَّۃً اَنْ یَّفْقَهُوْهُ وَ فِیْۤ اٰذَانِهِمْ وَقْرًا ؕ وَ اِنْ تَدْعُهُمْ اِلَی الْهُدٰی فَلَنْ یَّہْتَدُوْۤا اِذًا اَبَدًا
“তার চাইতে বড় সীমালঙ্ঘনকারী (জালেম) কে আছে, যাকে তার পালনকর্তার কালাম দ্বারা বোঝানো হয়, অতঃপর সে তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং তার পূর্ববর্তী কৃতকর্মসমূহ ভুলে যায়? আমি তাদের অন্তরের উপর পর্দা রেখে দিয়েছি, যেন তা না বোঝে এবং তাদের কানে রয়েছে বধিরতার বোঝা। যদি আপনি তাদেরকে সৎপথের প্রতি দাওয়াত দেন, তবে কখনই তারা সৎপথে আসবে না।” (১৮:৫৭)
وَ لَوْ یُؤَاخِذُ اللّٰهُ النَّاسَ بِظُلْمِهِمْ مَّا تَرَكَ عَلَیْهَا مِنْ دَآبَّۃٍ وَّ لٰكِنْ یُّؤَخِّرُهُمْ اِلٰۤی اَجَلٍ مُّسَمًّی ۚ فَاِذَا جَآءَ اَجَلُهُمْ لَا یَسْتَاْخِرُوْنَ سَاعَۃً وَّ لَا یَسْتَقْدِمُوْنَ وَ یَجْعَلُوْنَ لِلّٰهِ مَا یَکْرَهُوْنَ وَ تَصِفُ اَلْسِنَتُهُمُ الْكَذِبَ اَنَّ لَهُمُ الْحُسْنٰی ؕ لَا جَرَمَ اَنَّ لَهُمُ النَّارَ وَ اَنَّهُمْ مُّفْرَطُوْنَ
“যদি আল্লাহ লোকদেরকে তাদের (সীমালঙ্ঘনজনিত) অন্যায় কাজের কারণে পাকড়াও করতেন, তবে ভূপৃষ্ঠে চলমান কোন কিছুকেই ছাড়তেন না। কিন্তু তিনি প্রতিশ্রুতি সময় পর্যন্ত তাদেরকে অবকাশ দেন। অতঃপর নির্ধারিত সময়ে যখন তাদের মৃত্যু এসে যাবে, তখন এক মুহূর্তও বিলম্বিত কিংবা ত্বরাম্বিত করতে পারবে না। যা নিজেদের মন চায় না তারই তারা আল্লাহর জন্যে সাব্যস্ত করে এবং তাদের জিহবা মিথ্যা বর্ণনা করে যে, তাদের জন্যে রয়েছে কল্যাণ। স্বতঃসিদ্ধ কথা যে, তাদের জন্যে রয়েছে আগুন এবং তাদেরকেই সর্বাগ্রে নিক্ষেপ করা হবে।” (১৬:৬১ – ৬২)
وَ لَقَدْ عَلِمْتُمُ الَّذِیْنَ اعْتَدَوْا مِنْکُمْ فِی السَّبْتِ فَقُلْنَا لَهُمْ کُوْنُوْا قِرَدَۃً خٰسِئِیْنَ
“তোমরা তাদেরকে ভালরূপে জেনেছ, যারা শনিবারের ব্যাপারে সীমালংঘন করেছিল। আমি বলেছিলাম: তোমরা লাঞ্ছিত বানর হয়ে যাও।” (২:৬৫)
اِسْتِکْـبَارًا فِی الْاَرْضِ وَ مَکْرَ السَّیِّیَٔ ؕ وَ لَا یَحِیْقُ الْمَکْرُ السَّیِّیُٔ اِلَّا بِاَهْلِہٖ ؕ فَهَلْ یَنْظُرُوْنَ اِلَّا سُنَّتَ الْاَوَّلِیْنَ ۚ فَلَنْ تَجِدَ لِسُنَّتِ اللّٰهِ تَبْدِیْلًا ۬ۚ وَ لَنْ تَجِدَ لِسُنَّتِ اللّٰهِ تَحْوِیْلًا اَوَ لَمْ یَسِیْرُوْا فِی الْاَرْضِ فَیَنْظُرُوْا كَیْفَ كَانَ عَاقِبَۃُ الَّذِیْنَ مِنْ قَبْلِهِمْ وَ كَانُوْۤا اَشَدَّ مِنْهُمْ قُوَّۃً ؕ وَ مَا كَانَ اللّٰهُ لِیُعْجِزَہٗ مِنْ شَیْءٍ فِی السَّمٰوٰتِ وَ لَا فِی الْاَرْضِ ؕ اِنَّہٗ كَانَ عَلِیْمًا قَدِیْرًا
“পৃথিবীতে ঔদ্ধত্য প্রকাশ ও কুচক্রের কারণে – কুচক্রীদেরকেই তাদের কূট ষড়যন্ত্র ঘিরে ধরে। তারা কেবল পূর্ববর্তীদের দশারই অপেক্ষা করছে। অতএব আপনি আল্লাহর বিধানে পরিবর্তন পাবেন না এবং আল্লাহর রীতি–নীতিতে কোন রকম বিচ্যুতিও পাবেন না। তারা কি পৃথিবীতে ভ্রমণ করে না? করলে দেখত তাদের পূর্ববর্তীদের কি পরিণাম হয়েছে। অথচ তারা তাদের অপেক্ষা অধিকতর শক্তিশালী ছিল। আকাশ ও পৃথিবীতে কোন কিছুই আল্লাহকে অপারগ করতে পারে না। নিশ্চয় তিনি সর্বজ্ঞ সর্বশক্তিমান।” (৩৫:৪৩ – ৪৪)
وَمِنَ النَّاسِ مَن يُجَادِلُ فِي اللَّهِ بِغَيْرِ عِلْمٍ وَلَا هُدًى وَلَا كِتَابٍ مُّنِيرٍ ثَانِيَ عِطْفِهِ لِيُضِلَّ عَن سَبِيلِ اللَّهِ ۖ لَهُ فِي الدُّنْيَا خِزْيٌ ۖ وَنُذِيقُهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ عَذَابَ الْحَرِيقِ “কতক মানুষ জ্ঞান; প্রমাণ ও উজ্জ্বল কিতাব ছাড়াই আল্লাহ সম্পর্কে বিতর্ক করে। সে পার্শ্ব পরিবর্তন করে বিতর্ক করে, যাতে আল্লাহর পথ থেকে বিভ্রান্ত করে দেয়। তার জন্যে দুনিয়াতে লাঞ্ছনা আছে এবং কেয়ামতের দিন আমি তাকে দহন–যন্ত্রণা আস্বাদন করাব।” (২২:৮–৯)وَقَالَ الَّذِينَ كَفَرُوا لِلَّذِينَ آمَنُوا اتَّبِعُوا سَبِيلَنَا وَلْنَحْمِلْ خَطَايَاكُمْ وَمَا هُم بِحَامِلِينَ مِنْ خَطَايَاهُم مِّن شَيْءٍ ۖ إِنَّهُمْ لَكَاذِبُونَ وَلَيَحْمِلُنَّ أَثْقَالَهُمْ وَأَثْقَالًا مَّعَ أَثْقَالِهِمْ ۖ وَلَيُسْأَلُنَّ يَوْمَ الْقِيَامَةِ عَمَّا كَانُوا يَفْتَرُونَ “কাফেররা মুমিনদেরকে বলে, আমাদের পথ অনুসরণ কর। আমরা তোমাদের পাপভার বহন করব। অথচ তারা পাপভার কিছুতেই বহন করবে না। নিশ্চয় তারা মিথ্যাবাদী। তারা নিজেদের পাপভার এবং তার সাথে আরও কিছু পাপভার বহন করবে। অবশ্য তারা যে সব মিথ্যা কথা উদ্ভাবন করে, সে সম্পর্কে কেয়ামতের দিন জিজ্ঞাসিত হবে।” (২৯:১২–১৩)
আল্লাহর কোন শরীক বা সমকক্ষ কেউ নেই
قُلْ هُوَ اللهُ اَحَدٌ اَللهُ الصَّمَدُ لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُوْلَدْ وَلَمْ يَكُنْ لَّه كُفُوًا اَحَدٌ
“(হে নবী) বলুন, তিনি আল্লাহ- একক, আল্লাহ অমুখাপেক্ষী, তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউ তাকে জন্ম দেয়নি এবং তাঁর সমতুল্য কেউ নেই।” (১১২:১ – ৪)
আল্লাহ্ সুবহানাহু তায়ালা এক–অদ্বিতীয় ও অনন্য। তাঁর শরীক, সমতুল্য বা সমকক্ষ কেউ নেই। এক ধরনের কুসংস্কারাচ্ছন্ন বিভ্রান্ত মানবগোষ্ঠী আল্লাহর সাথে কাল্পনিক বস্তুকে শরীক বা সমকক্ষ দাঁড় করায় এবং এদের উপাসনা করে, এদেরকে তাদের ভাল–মন্দের নিয়ামক বানায় এবং তাদের কাছে সাহায্য চায়। এসবই তাদের মেকি বা ভূয়া উপাস্য। মুশরেকরা তাদের উপাস্যের প্রতিমূর্তি বানায়, দেব–দেবী হিসেবে এসব মূর্তিকে পূজা–অর্চনা করে এবং এদেরকেই তাদের মুক্তির উপায় মনে করে। তাদের এসব অলীক বিশ্বাস ও কর্ম মিথ্যা বৈ কিছু নয়, তার কোন ভিত্তি নেই এবং তার পরিণাম ফল খুবই ভয়াবহ। এটা আল্লাহর একত্ববাদের সম্পূর্ণ বিপরীত। এসব অলীক বিশ্বাস, ঠুনকো ও ক্ষমতাহীন উপাস্য এবং তাদের উপাসক সম্পর্কে অনেক আয়াত পবিত্র কুরআনে নাযিল হয়েছে যার কিয়দংশ নিম্নে উদ্ধৃত করা হলো:
وَلَا تَدْعُ مَعَ اللهِ اِلٰهًا اٰخَرَۘ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ قف كُلُّ شَىْءٍ هَالِكٌ اِلَّا وَجْهَه ط لَهُ الْحُكْمُ وَاِلَيْهِ تُرْجَعُوْنَ
“আপনি আল্লাহর সাথে অন্য উপাস্যকে আহ্বান করবেন না। তিনি ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নেই। আল্লাহর সত্তা ব্যতীত সবকিছু ধ্বংস হবে। বিধান তাঁরই এবং তোমরা তাঁরই কাছে প্রত্যাবর্তিত হবে।” (২৮:৮৮)
اِنَّ اللهَ لَا يَغْفِرُ اَنْ يُّشْرَكَ بِه وَيَغْفِرُ مَا دُوْنَ ذٰلِكَ لِمَنْ يَّشَآءُ وَمَنْ يُّشْرِكْ بِاللهِ فَقَدْ ضَلَّ ضَلٰلًۢا بَعِيْدًا
“নিশ্চয় আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন না, যে তাঁর সাথে কাউকে শরীক করে। এছাড়া যাকে ইচ্ছা, ক্ষমা করেন। যে আল্লাহর সাথে শরীক করে সে সুদূর ভ্রান্তিতে পতিত হয়।” (৪:১১৬)
اَفَمَنْ هُوَ قَآئِمٌ عَلٰی کُلِّ نَفْسٍۭ بِمَا كَسَبَتْ ۚ وَ جَعَلُوْا لِلّٰهِ شُرَكَآءَ ؕ قُلْ سَمُّوْهُمْ ؕ اَمْ تُنَبِّـُٔوْنَہٗ بِمَا لَا یَعْلَمُ فِی الْاَرْضِ اَمْ بِظَاهِرٍ مِّنَ الْقَوْلِ ؕ بَلْ زُیِّنَ لِلَّذِیْنَ كَفَرُوْا مَکْرُهُمْ وَ صُدُّوْا عَنِ السَّبِیْلِ ؕ وَ مَنْ یُّضْلِلِ اللّٰهُ فَمَا لَہٗ مِنْ هَادٍ
“ওরা প্রত্যেকেই কি মাথার উপর স্ব স্ব কৃতকর্ম নিয়ে দন্ডায়মান নয়? এবং তারা আল্লাহর জন্য অংশীদার সাব্যস্ত করে। বলুন, নাম বল অথবা খবর দাও পৃথিবীর এমন কিছু জিনিস সম্পর্কে যা তিনি জানেন না? অথবা অসার কথাবার্তা বলছ? বরং সুশোভিত করা হয়েছে কাফেরদের জন্যে তাদের প্রতারণাকে এবং তাদেরকে সৎপথ থেকে বাধা দান করা হয়েছে। আল্লাহ যাকে পথভ্রষ্ট করেন, তার কোন পথ প্রদর্শক নেই।” (১৩:৩৩)
عِلْمِ الْغَيْبِ وَالشَّهدَةِ فَتَعٰلٰى عَمَّا يُشْرِكُوْنَ
“তিনি দৃশ্য ও অদৃশ্যের জ্ঞানী। তারা যাকে শরীক করে, তিনি তা থেকে বহু ঊর্ধ্বে।” (২৩:৯২)
وَ الَّذِیْنَ یَدْعُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ لَا یَخْلُقُوْنَ شَیْئًا وَّ هُمْ یُخْلَقُوْنَ اَمْوَاتٌ غَیْرُ اَحْیَآءٍ ۚ وَ مَا یَشْعُرُوْنَ ۙ اَیَّانَ یُبْعَثُوْنَ
“এবং যারা আল্লাহকে ছেড়ে অন্যদের ডাকে, ওরা তো কোন বস্তুই সৃষ্টি করে না; বরং ওরা নিজেরাই সৃজিত। তারা মৃত–প্রাণহীন এবং কবে পুনরুত্থিত হবে, জানে না।” (১৬:২০ – ২১)
وَ یَعْبُدُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ مَا لَا یَمْلِکُ لَهُمْ رِزْقًا مِّنَ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ شَیْئًا وَّ لَا یَسْتَطِیْعُوْنَ فَلَا تَضْرِبُوْا لِلّٰهِ الْاَمْثَالَ ؕ اِنَّ اللّٰهَ یَعْلَمُ وَ اَنْتُمْ لَا تَعْلَمُوْنَ
“তারা আল্লাহ ব্যতীত এমন বস্তুর ইবাদত করে, যে তাদের জন্যে ভ‚মন্ডল ও নভোমন্ডল থেকে সামান্য রুযী দেওয়ারও ক্ষমতা রাখে না এবং সক্ষমতাও রাখে না। অতএব, আল্লাহর কোন সদৃশ সাব্যস্ত করো না, নিশ্চয় আল্লাহ জানেন এবং তোমরা জান না।” (১৬:৭৩ – ৭৪)
وَ مِنَ النَّاسِ مَنْ یَّتَّخِذُ مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ اَنْدَادًا یُّحِبُّوْنَهُمْ كَحُبِّ اللّٰهِ ؕ وَ الَّذِیْنَ اٰمَنُوْۤا اَشَدُّ حُبًّا لِّلّٰهِ ؕوَ لَوْ یَرَی الَّذِیْنَ ظَلَمُوْۤا اِذْ یَرَوْنَ الْعَذَابَ ۙ اَنَّ الْقُوَّۃَ لِلّٰهِ جَمِیْعًا ۙ وَّ اَنَّ اللّٰهَ شَدِیْدُ الْعَذَابِ
“আর কোন লোক এমনও রয়েছে যারা অন্যান্যকে আল্লাহর সমকক্ষ সাব্যস্ত করে এবং তাদের প্রতি তেমনি ভালবাসা পোষণ করে, যেমন আল্লাহর প্রতি ভালবাসা হয়ে থাকে। কিন্তু যারা আল্লাহর প্রতি ঈমানদার তাদের ভালবাসা ওদের তুলনায় বহুগুণ বেশী। আর কতইনা উত্তম হত যদি এ যালেমরা পার্থিব কোন কোন আযাব প্রত্যক্ষ করেই উপলব্ধি করে নিত যে, যাবতীয় ক্ষমতা শুধুমাত্র আল্লাহরই জন্য এবং আল্লাহর আযাবই সবচেয়ে কঠিনতর।” (২:১৬৫)
وَ اتَّخَذُوْا مِنْ دُوْنِہٖۤ اٰلِهَۃً لَّا یَخْلُقُوْنَ شَیْئًا وَّ هُمْ یُخْلَقُوْنَ وَ لَا یَمْلِکُوْنَ لِاَنْفُسِهِمْ ضَرًّا وَّ لَا نَفْعًا وَّ لَا یَمْلِکُوْنَ مَوْتًا وَّ لَا حَیٰوۃً وَّ لَا نُشُوْرًا
“তারা তাঁর পরিবর্তে কত উপাস্য গ্রহণ করেছে, যারা কিছুই সৃষ্টি করে না এবং তারা নিজেরাই সৃষ্ট এবং নিজেদের ভালও করতে পারে না, মন্দও করতে পারে না এবং জীবন, মরণ ও পুনরুজ্জীবনেরও তারা মালিক নয়।” (২৫:৩)
اَمَّنْ یَّبْدَؤُا الْخَلْقَ ثُمَّ یُعِیْدُہٗ وَ مَنْ یَّرْزُقُکُمْ مِّنَ السَّمَآءِ وَ الْاَرْضِ ؕ ءَ اِلٰہٌ مَّعَ اللّٰهِ ؕ قُلْ هَاتُوْا بُرْهَانَکُمْ اِنْ کُنْتُمْ صٰدِقِیْنَ
“বল তো কে প্রথমবার সৃষ্টি করেন, অতঃপর তাকে পুনরায় সৃষ্টি করবেন এবং কে তোমাদেরকে আকাশ ও যমীন থেকে রিযিক দান করেন। সুতরাং আল্লাহর সাথে অন্য কোন উপাস্য আছে কি? বলুন, তোমরা যদি সত্যবাদী হও তবে তোমাদের প্রমাণ উপস্থিত কর।” (২৭:৬৪)
اَیُشْرِکُوْنَ مَا لَا یَخْلُقُ شَیْئًا وَّ هُمْ یُخْلَقُوْنَ ۖ وَ لَا یَسْتَطِیْعُوْنَ لَهُمْ نَصْرًا وَّ لَاۤ اَنْفُسَهُمْ یَنْصُرُوْنَ وَ اِنْ تَدْعُوْهُمْ اِلَی الْهُدٰی لَا یَتَّبِعُوْکُمْ ؕ سَوَآءٌ عَلَیْکُمْ اَدَعَوْتُمُوْهُمْ اَمْ اَنْتُمْ صَامِتُوْنَ
“তারা কি এমন কাউকে শরীক সাব্যস্ত করে, যে একটি বস্তুও সৃষ্টি করেনি, বরং তাদেরকে সৃষ্টি করা হয়েছে। আর তারা, না তাদের সাহায্য করতে পারে, না নিজের সাহায্য করতে পারে। আর তোমরা যদি তাদেরকে আহ্বান কর সুপথের দিকে, তবে তারা তোমাদের আহ্বান অনুযায়ী চলবে না। তাদেরকে আহ্বান জানানো কিংবা নীরব থাকা উভয়টিই তোমাদের জন্য সমান।” (৭:১৯১ – ১৯৩)
وَ حَآجَّہٗ قَوْمُہٗ ؕ قَالَ اَتُحَآجُّوْٓنِّیْ فِی اللّٰهِ وَ قَدْ هَدٰىنِ ؕ وَ لَاۤ اَخَافُ مَا تُشْرِکُوْنَ بِہٖۤ اِلَّاۤ اَنْ یَّشَآءَ رَبِّیْ شَیْئًا ؕ وَسِعَ رَبِّیْ کُلَّ شَیْءٍ عِلْمًا ؕ اَفَلَا تَتَذَكَرُوْنَ وَ كَیْفَ اَخَافُ مَاۤ اَشْرَکْتُمْ وَ لَا تَخَافُوْنَ اَنَّکُمْ اَشْرَکْتُمْ بِاللّٰهِ مَا لَمْ یُنَزِّلْ بِہٖ عَلَیْکُمْ سُلْطٰنًا ؕ فَاَیُّ الْفَرِیْقَیْنِ اَحَقُّ بِالْاَمْنِ ۚ اِنْ کُنْتُمْ تَعْلَمُوْنَ اَلَّذِیْنَ اٰمَنُوْا وَ لَمْ یَلْبِسُوْۤا اِیْمَانَهُمْ بِظُلْمٍ اُولٰٓئِكَ لَهُمُ الْاَمْنُ وَ هُمْ مُّہْتَدُوْنَ وَ تِلْكَ حُجَّتُنَاۤ اٰتَیْنٰهَاۤ اِبْرٰهِیْمَ عَلٰی قَوْمِہٖ ؕ نَرْفَعُ دَرَجٰتٍ مَّنْ نَّشَآءُ ؕ اِنَّ رَبَّكَ حَكِیْمٌ عَلِیْمٌ
“তাঁর (ইবরাহীম আ) সাথে তার সম্প্রদায় বিতর্ক করল। সে বলল: তোমরা কি আমার সাথে আল্লাহর একত্ববাদ সম্পর্কে বিতর্ক করছ; অথচ তিনি আমাকে পথ প্রদর্শন করেছেন। তোমরা যাদেরকে শরীক কর, আমি তাদেরকে ভয় করি না তবে আমার পালকর্তাই যদি কোন কষ্ট দিতে চান। আমার পালনকর্তাই প্রত্যেক বস্তুকে স্বীয় জ্ঞান দ্বারা বেষ্টন করে আছেন। তোমরা কি চিন্তা কর না? যাদেরকে তোমরা আল্লাহর সাথে শরীক করে রেখেছ, তাদেরকে কিরূপে ভয় কর, অথচ তোমরা ভয় কর না যে, তোমরা আল্লাহর সাথে এমন বস্তুকে শরীক করছ, যাদের সম্পর্কে আল্লাহ তোমাদের প্রতি কোন প্রমাণ অবতীর্ণ করেননি। অতএব, উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে শাস্তি লাভের অধিক যোগ্য কে, যদি তোমরা জ্ঞানী হয়ে থাক। যারা ঈমান আনে এবং স্বীয় বিশ্বাসকে শেরেকীর সাথে মিশ্রিত করে না, তাদের জন্যেই শান্তি এবং তারাই সুপথগামী। এটি ছিল আমার যুক্তি, যা আমি ইব্রাহীমকে তাঁর সম্প্রদায়ের বিপক্ষে প্রদান করেছিলাম। আমি যাকে ইচ্ছা মর্যাদায় সমুন্নত করি। আপনার পালনকর্তা প্রজ্ঞাময়, মহাজ্ঞানী।” (৬:৮০ – ৮৩)
وَ جَعَلُوْا لِلّٰهِ شُرَكَآءَ الْجِنَّ وَ خَلَقَهُمْ وَ خَرَقُوْا لَہٗ بَنِیْنَ وَ بَنٰتٍۭ بِغَیْرِ عِلْمٍ ؕ سُبْحٰنَہٗ وَ تَعٰلٰی عَمَّا یَصِفُوْنَ بَدِیْعُ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ ؕ اَنّٰی یَکُوْنُ لَہٗ وَلَدٌ وَّ لَمْ تَکُنْ لَّہٗ صَاحِبَۃٌ ؕ وَ خَلَقَ کُلَّ شَیْءٍ ۚ وَ هُوَ بِکُلِّ شَیْءٍ عَلِیْمٌ
“তারা জিনদেরকে আল্লাহর অংশীদার স্থির করে; অথচ তাদেরকে তিনিই সৃষ্টি করেছেন। তারা অজ্ঞতাবশতঃ আল্লাহর জন্যে পুত্র ও কন্যা সাব্যস্ত করে নিয়েছে। তিনি পবিত্র ও সমুন্নত, তাদের বর্ণনা থেকে। তিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের আদি স্রষ্টা। কিরূপে আল্লাহর পুত্র হতে পারে, অথচ তাঁর কোন সঙ্গী নেই? তিনি যাবতীয় কিছু সৃষ্টি করেছেন। তিনি সব বস্তু সম্পর্কে সুবিজ্ঞ।” (৬:১০০ – ১০১)
اَمِ اتَّخَذُوْۤا اٰلِهَۃً مِّنَ الْاَرْضِ هُمْ یُنْشِرُوْنَ لَوْ كَانَ فِیْهِمَاۤ اٰلِهَۃٌ اِلَّا اللّٰهُ لَفَسَدَتَا ۚ فَسُبْحٰنَ اللّٰهِ رَبِّ الْعَرْشِ عَمَّا یَصِفُوْنَ لَا یُسْـَٔلُ عَمَّا یَفْعَلُ وَ هُمْ یُسْـَٔلُوْنَ اَمِ اتَّخَذُوْا مِنْ دُوْنِہٖۤ اٰلِهَۃً ؕ قُلْ هَاتُوْا بُرْهَانَکُمْ ۚ هٰذَا ذِکْرُ مَنْ مَّعِیَ وَ ذِکْرُ مَنْ قَبْلِیْ ؕ بَلْ اَکْثَرُهُمْ لَا یَعْلَمُوْنَ ۙ الْحَقَّ فَهُمْ مُّعْرِضُوْنَ وَ مَاۤ اَرْسَلْنَا مِنْ قَبْلِكَ مِنْ رَّسُوْلٍ اِلَّا نُوْحِیْۤ اِلَیْهِ اَنَّہٗ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّاۤ اَنَا فَاعْبُدُوْنِ
“তারা কি মৃত্তিকা দ্বারা তৈরী উপাস্য গ্রহণ করেছে, যে তারা তাদেরকে জীবিত করবে? যদি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলে আল্লাহ ব্যতীত অন্যান্য উপাস্য থাকত, তবে উভয়ের ধ্বংস হয়ে যেত। অতএব তারা যা বলে, তা থেকে আরশের অধিপতি আল্লাহ পবিত্র। তিনি যা করেন, তৎসম্পর্কে তিনি জিজ্ঞাসিত হবেন না এবং তাদেরকে জিজ্ঞেস করা হবে। তারা কি আল্লাহ ব্যতীত অন্যান্য উপাস্য গ্রহণ করেছে? বলুন, তোমরা তোমাদের প্রমাণ আন। এটাই আমার সঙ্গীদের কথা এবং এটাই আমার পূর্ববর্তীদের কথা। বরং তাদের অধিকাংশই সত্য জানে না; অতএব তারা টালবাহানা করে। আপনার পূর্বে আমি যে রসূলই প্রেরণ করেছি, তাকে এ আদেশই প্রেরণ করেছি যে, আমি ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নেই। সুতরাং আমারই ইবাদত কর।” (২১:২১ – ২৫)
وَ قَالَ اللّٰهُ لَا تَتَّخِذُوْۤا اِلٰـهَیْنِ اثْنَیْنِ ۚ اِنَّمَا هُوَ اِلٰہٌ وَّاحِدٌ ۚ فَاِیَّایَ فَارْهَبُوْنِ وَ لَہٗ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ وَ لَهُ الدِّیْنُ وَاصِبًا ؕ اَفَغَیْرَ اللّٰهِ تَتَّقُوْنَ
“আল্লাহ বললেন: তোমরা দুই উপাস্য গ্রহণ করো না উপাস্য তো মাত্র একজনই। অতএব আমাকেই ভয় কর। যা কিছু নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলে আছে তা তাঁরই ইবাদত করা শাশ্বত কর্তব্য। তোমরা কি আল্লাহ ব্যতীত কাউকে ভয় করবে?” (১৬:৫১ – ৫২)
اِتَّخَذُوْۤا اَحْبَارَهُمْ وَ رُهْبَانَهُمْ اَرْبَابًا مِّنْ دُوْنِ اللّٰهِ وَ الْمَسِیْحَ ابْنَ مَرْیَمَ ۚ وَ مَاۤ اُمِرُوْۤا اِلَّا لِیَعْبُدُوْۤا اِلٰـہًا وَّاحِدًا ۚ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ ؕ سُبْحٰنَہٗ عَمَّا یُشْرِکُوْنَ
“তারা (ইহুদী–নাসারা) তাদের পন্ডিত ও সংসার–বিরাগীদিগকে তাদের পালনকর্তারূপে গ্রহণ করেছে আল্লাহ ব্যতীত এবং মরিয়মের পুত্রকেও। অথচ তারা আদিষ্ট ছিল একমাত্র মাবুদের এবাদতের জন্য। তিনি ছাড়া কোন মাবুদ নেই, তারা তাঁর শরীক সাব্যস্ত করে, তার থেকে তিনি পবিত্র।” (৯:৩১)
قُلْ هَلْ مِنْ شُرَكَآئِکُمْ مَّنْ یَّہْدِیْۤ اِلَی الْحَقِّ ؕ قُلِ اللّٰهُ یَہْدِیْ لِلْحَقِّ ؕ اَفَمَنْ یَّہْدِیْۤ اِلَی الْحَقِّ اَحَقُّ اَنْ یُّتَّبَعَ اَمَّنْ لَّا یَهِدِّیْۤ اِلَّاۤ اَنْ یُّہْدٰی ۚ فَمَا لَکُمْ ۟ كَیْفَ تَحْکُمُوْنَ
“জিজ্ঞেস করুন, আছে কি কেউ তোমাদের শরীকদের মধ্যে যে সত্য–সঠিক পথ প্রদর্শন করবে? বল, আল্লাহই সত্য–সঠিক পথ প্রদর্শন করেন, সুতরাং যিনি সঠিক পথ দেখাবেন তিনি অনুসরণযোগ্য – না যাকে পথ প্রদর্শন না করলে নিজে নিজে সঠিক পথ খুঁজে পায় না, সে। অতএব, তোমাদের কি হল, কেমন তোমাদের বিচার?” (১০:৩৫)
আল্লাহর অনুমতি ব্যতীত সুপারিশ করার অধিকার কারো নেই
لَہٗ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَ مَا فِی الْاَرْضِ ؕ مَنْ ذَا الَّذِیْ یَشْفَعُ عِنْدَہٗۤ اِلَّا بِاِذْنِہٖ ؕ
“…….আসমান ও যমীনে যা কিছু রয়েছে, সবই তাঁর। কে আছ এমন, যে সুপারিশ করবে তাঁর কাছে তাঁর অনুমতি ছাড়া……?” (২:২৫৫)
অংশীবাদ ও পৌত্তলিকতার একটি বড় ভ্রান্তি হলো যে, এরা ধারণা করে – এদের উপাস্যগুলো মহান আল্লাহর দরবারে এদের কল্যাণ ও মুক্তির জন্য সুপারিশ করবে। নিম্নের আয়াতগুলোতে আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা সুস্পষ্টভাবে তাদের এসব ভ্রান্ত ধারণার নিরসন করেছেন:
أَلَا لِلَّهِ الدِّينُ الْخَالِصُ ۚ وَالَّذِينَ اتَّخَذُوا مِن دُونِهِ أَوْلِيَاءَ مَا نَعْبُدُهُمْ إِلَّا لِيُقَرِّبُونَا إِلَى اللَّهِ زُلْفَىٰ إِنَّ اللَّهَ يَحْكُمُ بَيْنَهُمْ فِي مَا هُمْ فِيهِ يَخْتَلِفُونَ ۗ إِنَّ اللَّهَ لَا يَهْدِي مَنْ هُوَ كَاذِبٌ كَفَّارٌ“জেনে রাখুন, নিষ্ঠাপূর্ণ এবাদত আল্লাহরই নিমিত্ত। যারা আল্লাহ ব্যতীত অপরকে উপাস্যরূপে গ্রহণ করে রেখেছে এবং বলে যে, আমরা তাদের এবাদত এ জন্যেই করি, যেন তারা আমাদেরকে আল্লাহর নিকটবর্তী করে দেয়। নিশ্চয় আল্লাহ তাদের মধ্যে তাদের পারস্পরিক বিরোধপূর্ণ বিষয়ের ফয়সালা করে দেবেন। আল্লাহ মিথ্যাবাদী কাফেরকে সৎপথে পরিচালিত করেন না।” (৩৯:৩)وَ یَعْبُدُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ مَا لَا یَضُرُّهُمْ وَ لَا یَنْفَعُهُمْ وَ یَقُوْلُوْنَ هٰۤؤُلَآءِ شُفَعَآؤُنَا عِنْدَ اللّٰهِ ؕ قُلْ اَتُنَبِّـُٔوْنَ اللّٰهَ بِمَا لَا یَعْلَمُ فِی السَّمٰوٰتِ وَ لَا فِی الْاَرْضِ ؕ سُبْحٰنَہٗ وَتَعٰلٰی عَمَّا یُشْرِکُوْنَ
“আর (কাফেরগণ) উপাসনা করে আল্লাহকে বাদ দিয়ে এমন বস্তুর, যা না তাদের কোন ক্ষতিসাধন করতে পারে, না লাভ এবং বলে, এরা তো আল্লাহর কাছে আমাদের সুপারিশকারী। তুমি বল, তোমরা কি আল্লাহকে এমন বিষয়ে অবহিত করছ, যে সম্পর্কে তিনি অবহিত নন আসমান ও যমীনের মাঝে ? তিনি পূতঃপবিত্র ও মহান সে সমস্ত থেকে যাকে তোমরা শরীক করছ।” (১০:১৮)
اَمِ اتَّخَذُوْا مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ شُفَعَآءَ ؕ قُلْ اَوَ لَوْ كَانُوْا لَا یَمْلِکُوْنَ شَیْئًا وَّ لَا یَعْقِلُوْنَ قُلْ لِّلّٰهِ الشَّفَاعَۃُ جَمِیْعًا ؕ لَہٗ مُلْکُ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ ؕ ثُمَّ اِلَیْهِ تُرْجَعُوْنَ
“তারা কি আল্লাহ ব্যতীত সুপারিশকারী গ্রহণ করেছে? বলুন, তাদের কোন এখতিয়ার না থাকলেও এবং তারা না বুঝলেও? বলুন, সমস্ত সুপারিশ আল্লাহরই ক্ষমতাধীন, আসমান ও যমীনে তাঁরই সাম্রাজ্য। অতঃপর তাঁরই কাছে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে।” (৩৯:৪৩ – ৪৪)
وَ لَا یَمْلِکُ الَّذِیْنَ یَدْعُوْنَ مِنْ دُوْنِهِ الشَّفَاعَۃَ اِلَّا مَنْ شَهِدَ بِالْحَقِّ وَ هُمْ یَعْلَمُوْنَ
“তিনি ব্যতীত তারা যাদের পূজা করে, তারা সুপারিশের অধিকারী হবে না, তবে যারা সত্য স্বীকার করত ও বিশ্বাস করত।” (৪৩:৮৬)
وَ لَا تَنْفَعُ الشَّفَاعَۃُ عِنْدَہٗۤ اِلَّا لِمَنْ اَذِنَ لَہٗ ؕ حَتّٰۤی اِذَا فُزِّعَ عَنْ قُلُوْبِهِمْ قَالُوْا مَاذَا ۙ قَالَ رَبُّکُمْ ؕ قَالُوا الْحَقَّ ۚ وَ هُوَ الْعَلِیُّ الْكَبِیْرُ
“যার জন্যে অনুমতি দেয়া হয়, তার জন্যে ব্যতীত আল্লাহর কাছে কারও সুপারিশ ফলপ্রসূ হবে না। যখন তাদের মন থেকে ভয়–ভীতি দূর হয়ে যাবে, তখন তারা পরস্পরে বলবে, তোমাদের পালনকর্তা কি বললেন? তারা বলবে, তিনি সত্য বলেছেন এবং তিনিই সবার উপরে মহান।” (৩৪:২৩)
وَ اَنْذِرْهُمْ یَوْمَ الْاٰزِفَۃِ اِذِ الْقُلُوْبُ لَدَی الْحَنَاجِرِ کٰظِمِیْنَ ۬ؕ مَا لِلظّٰلِمِیْنَ مِنْ حَمِیْمٍ وَّ لَا شَفِیْعٍ یُّطَاعُ
“আপনি তাদেরকে আসন্ন দিন সম্পর্কে সতর্ক করুন, যখন প্রাণ কন্ঠাগত হবে, দম বন্ধ হওয়ার উপক্রম হবে। পাপিষ্ঠদের জন্যে কোন বন্ধু নেই এবং সুপারিশকারীও নেই; যার সুপারিশ গ্রাহ্য হবে।” (৪০:১৮)
اِنَّ رَبَّکُمُ اللّٰهُ الَّذِیْ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضَ فِیْ سِتَّۃِ اَیَّامٍ ثُمَّ اسْتَوٰی عَلَی الْعَرْشِ یُدَبِّرُ الْاَمْرَ ؕ مَا مِنْ شَفِیْعٍ اِلَّا مِنْۢ بَعْدِ اِذْنِہٖ ؕ ذٰلِکُمُ اللّٰهُ رَبُّکُمْ فَاعْبُدُوْهُ ؕ اَفَلَا تَذَكَرُوْنَ
“নিশ্চয়ই তোমাদের পালনকর্তা আল্লাহ যিনি তৈরী করেছেন আসমান ও যমীনকে ছয় দিনে, অতঃপর তিনি আরশের উপর অধিষ্ঠিত হয়েছেন। তিনি কার্য পরিচালনা করেন। কেউ সুপারিশ করতে পারবে না তবে তাঁর অনুমতি ছাড়া ইনিই আল্লাহ তোমাদের পালনকর্তা। অতএব, তোমরা তাঁরই ইবাদত কর। তোমরা কি কিছুই চিন্তা কর না?” (১০:৩)
لَا یَمْلِکُوْنَ الشَّفَاعَۃَ اِلَّا مَنِ اتَّخَذَ عِنْدَ الرَّحْمٰنِ عَہْدًا
“যে দয়াময় আল্লাহর কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করেছে, সে ব্যতীত আর কেউ সুপারিশ করার অধিকারী হবে না।” (১৯:৮৭)
یَوْمَئِذٍ لَّا تَنْفَعُ الشَّفَاعَۃُ اِلَّا مَنْ اَذِنَ لَهُ الرَّحْمٰنُ وَ رَضِیَ لَہٗ قَوْلًا
“দয়াময় আল্লাহ যাকে অনুমতি দেবেন এবং যার কথায় সন্তুষ্ট হবেন সে ছাড়া কারও সুপারিশ সেদিন কোন উপকারে আসবে না।” (২০:১০৯)
فَمَا تَنفَعُهُمْ شَفعَةُ الشّٰفِعِيْنَ
“অতএব, (অনুমতিবিহীন) সুপারিশকারীদের সুপারিশ তাদের কোন উপকারে আসবে না।” (৭৪:৪৮)
وَ كَمْ مِّنْ مَّلَکٍ فِی السَّمٰوٰتِ لَا تُغْنِیْ شَفَاعَتُهُمْ شَیْئًا اِلَّا مِنْۢ بَعْدِ اَنْ یَّاْذَنَ اللّٰهُ لِمَنْ یَّشَآءُ وَ یَرْضٰی
“আকাশে অনেক ফেরেশতা রয়েছে। তাদের কোন সুপারিশ ফলপ্রসূ হয় না যতক্ষণ আল্লাহ যার জন্যে ইচ্ছা ও যাকে পছন্দ করেন, অনুমতি না দেন।” (৫৩:২৬)
وَ اَنْذِرْ بِهِ الَّذِیْنَ یَخَافُوْنَ اَنْ یُّحْشَرُوْۤا اِلٰی رَبِّهِمْ لَیْسَ لَهُمْ مِّنْ دُوْنِہٖ وَلِیٌّ وَّ لَا شَفِیْعٌ لَّعَلَّهُمْ یَتَّقُوْنَ
“আপনি এ কুরআন দ্বারা তাদেরকে ভয় প্রদর্শন করুন, যারা আশঙ্কা করে স্বীয় পালনকর্তার কাছে এমতাবস্থায় একত্রিত হওয়ার যে, তাদের কোন সাহায্যকারী ও সুপারিশকারী হবে না – যাতে তারা গোনাহ থেকে বেঁচে থাকে।” (৬:৫১)
لَا یَسْبِقُوْنَہٗ بِالْقَوْلِ وَ هُمْ بِاَمْرِہٖ یَعْمَلُوْنَ یَعْلَمُ مَا بَیْنَ اَیْدِیْهِمْ وَ مَا خَلْفَهُمْ وَ لَا یَشْفَعُوْنَ ۙ اِلَّا لِمَنِ ارْتَضٰی وَ هُمْ مِّنْ خَشْیَتِہٖ مُشْفِقُوْنَ
“তাঁরা (নবী–রসূলগণ) আগে বেড়ে কথা বলতে পারেন না এবং তাঁরা তাঁর (আল্লাহর) আদেশেই কাজ করেন। তাঁদের সম্মুখে ও পশ্চাতে যা আছে, তা তিনি জানেন। তাঁরা শুধু তাদের জন্যে সুপারিশ করেন, যাদের প্রতি আল্লাহ সন্তুষ্ট এবং তারা তাঁর (আল্লাহর) ভয়ে ভীত।” (২১:২৭ – ২৮)
وَ ذَكِرْ بِہٖۤ اَنْ تُبْسَلَ نَفْسٌۢ بِمَا كَسَبَتْ ٭ۖ لَیْسَ لَهَا مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ وَلِیٌّ وَّ لَا شَفِیْعٌ ۚ وَ اِنْ تَعْدِلْ کُلَّ عَدْلٍ لَّا یُؤْخَذْ مِنْهَا ؕ
“……. এর (কুরআন) দ্বারা তাদেরকে উপদেশ দিন, যাতে কেউ স্বীয় কৃতকর্মের দ্বারা এমন ভাবে গ্রেফতার না হয়ে যায় যখন আল্লাহ ব্যতীত তার কোন সাহায্যকারী ও সুপারিশকারী থাকবে না এবং যদি তারা জগতের সব বিনিময়ও প্রদান করে, তবু তাদের কাছ থেকে তা গ্রহণ করা হবে না …. ।” (৬:৭০)
وَ لَقَدْ جِئْتُمُوْنَا فُرَادٰی كَمَا خَلَقْنٰکُمْ اَوَّلَ مَرَّۃٍ وَّ تَرَکْتُمْ مَّا خَوَّلْنٰکُمْ وَرَآءَ ظُهُوْرِکُمْ ۚ وَ مَا نَرٰی مَعَکُمْ شُفَعَآءَکُمُ الَّذِیْنَ زَعَمْتُمْ اَنَّهُمْ فِیْکُمْ شُرَکٰٓؤُا ؕ لَقَدْ تَّقَطَّعَ بَیْنَکُمْ وَ ضَلَّ عَنْکُمْ مَّا کُنْتُمْ تَزْعُمُوْنَ
“(বিচার দিবসে আল্লাহ্ বলবেন) তোমরা আমার কাছে নিঃসঙ্গ হয়ে এসেছ, যেমন আমি প্রথমবার তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছিলাম। আমি তোদেরকে যা দিয়েছিলাম, তা পশ্চাতেই রেখে এসেছ। আমি তো তোমাদের সাথে তোমাদের সুপারিশকারীদেরকে দেখছি না। যাদের সম্পর্কে তোমাদের দাবী ছিল যে, তারা তোমাদের ব্যাপারে অংশীদার। বাস্তবিকই তোমাদের পরস্পরের সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গেছে এবং তোমাদের দাবী উধাও হয়ে গেছে।” (৬:৯৪)
وَ یَوْمَ تَقُوْمُ السَّاعَۃُ یُبْلِسُ الْمُجْرِمُوْنَ وَ لَمْ یَکُنْ لَّهُمْ مِّنْ شُرَكَآئِهِمْ شُفَعٰٓؤُا وَ كَانُوْا بِشُرَكَآئِهِمْ کٰفِرِیْنَ
“যে দিন ক্বিয়ামত সংঘটিত হবে, সেদিন অপরাধীরা হতাশ হয়ে যাবে। তাদের দেবতাগুলোর মধ্যে কেউ তাদের সুপারিশ করবে না। এবং তারা তাদের দেবতাকে অস্বীকার করবে।” (৩০:১২ – ১৩)
আল্লাহর কোন সন্তান নেই
لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ وَلَمْ يَكُنْ لَّهُ كُفُوًا اَحَدٌ
“তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউ তাকে জন্ম দেয়নি এবং তার সমতুল্য কেউ নেই।” (১১২:৩ – ৪)
আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন এক ও অনন্য। তাঁর সমকক্ষ বা সমতুল্য কেউ নেই। তিনি কারো জনক নন এবং তাঁকেও কেউ জন্ম দেয়নি। তাঁর জনক–জননী–স্ত্রী–পুত্র–কন্যা কিছুই নেই। এগুলো তাঁর জন্য শোভা পায়না। তিনি এসবের অনেক ঊর্ধে এবং পূত–পবিত্র । যারা এসব কল্পকথা তাঁর উপর আরোপ করে তারা নেহায়েত মিথ্যাবাদী এবং পথভ্রষ্ট। এদর উপর আল্লাহ্ লা’নত বর্ষণ করেছেন। এ সম্পর্কিত আয়াতগুলো নিম্নে পেশ করা হলো:
اَلَا اِنَّهُمْ مِّنْ اِفْكِهِمْ لَيَقُوْلُوْنَ وَلَدَ اللهُ وَاِنَّهُمْ لَكٰذِبُوْنَ
“দেখ, তারা মনগড়া উক্তি করে যে, আল্লাহ সন্তান জন্ম দিয়েছেন। নিশ্চয় তারা মিথ্যাবাদী।” (৩৭:১৫১ – ১৫২)
الَّذِیْ لَہٗ مُلْکُ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ وَ لَمْ یَتَّخِذْ وَلَدًا وَّ لَمْ یَکُنْ لَّہٗ شَرِیْکٌ فِی الْمُلْكِ وَ خَلَقَ کُلَّ شَیْءٍ فَقَدَّرَہٗ تَقْدِیْرًا
“তিনি হলেন (আল্লাহ্) যাঁর রয়েছে নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের রাজত্ব। তিনি কোন সন্তান গ্রহণ করেননি। রাজত্বে তাঁর কোন অংশীদার নেই। তিনি প্রত্যেক বস্তু সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তাকে বিন্যস্ত করেছেন পরিমিতভাবে।” (২৫:২)
وَقَالُوْا اتَّخَذَ الرَّحْمنُ وَلَدًا ۗ سُبْحٰنَه بَلْ عِبَادٌ مُّكْرَمُوْنَ
“তারা বলল: দয়াময় আল্লাহ সন্তান গ্রহণ করেছেন। তিনি এ থেকে পবিত্র; বরং তারা তো তাঁর সম্মানিত বান্দা।” (২১:২৬)
ذٰلِكَ عِیْسَی ابْنُ مَرْیَمَ ۚ قَوْلَ الْحَقِّ الَّذِیْ فِیْهِ یَمْتَرُوْنَ مَا كَانَ لِلّٰهِ اَنْ یَّتَّخِذَ مِنْ وَّلَدٍ ۙ سُبْحٰنَہٗ ؕ اِذَا قَضٰۤی اَمْرًا فَاِنَّمَا یَقُوْلُ لَہٗ کُنْ فَیَکُوْنُ وَ اِنَّ اللّٰهَ رَبِّیْ وَ رَبُّکُمْ فَاعْبُدُوْهُ ؕ هٰذَا صِرَاطٌ مُّسْتَقِیْمٌ
“ইনিই মারইয়ামের পুত্র ঈসা। (আল্লাহ্ বলেন) সত্যকথা, যে বিষয়ে লোকেরা বিতর্ক করে। আল্লাহ এমন নন যে, সন্তান গ্রহণ করবেন, তিনি পবিত্র ও মহিমাময় সত্তা, তিনি যখন কোন কাজ করা সিদ্ধান্ত করেন, তখন একথাই বলেন: হও এবং তা হয়ে যায়। তিনি (ঈসা আ) আরও বললেন: নিশ্চয় আল্লাহ আমার পালনকর্তা ও তোমাদের পালনকর্তা। অতএব, তোমরা তাঁর ইবাদত কর। এটা সরল পথ।” (১৯:৩৪ – ৩৬)
وَّ یُنْذِرَ الَّذِیْنَ قَالُوا اتَّخَذَ اللّٰهُ وَلَدًا ٭ مَا لَهُمْ بِہٖ مِنْ عِلْمٍ وَّ لَا لِاٰبَآئِهِمْ ؕ كَبُرَتْ كَلِمَۃً تَخْرُجُ مِنْ اَفْوَاهِهِمْ ؕ اِنْ یَّقُوْلُوْنَ اِلَّا كَذِبًا
“এবং তাদেরকে ভয় প্রদর্শন করার জন্যে যারা বলে যে, আল্লাহর সন্তান রয়েছে। এ সম্পর্কে তাদের কোন জ্ঞান নেই এবং তাদের পিতৃ–পুরুষদেরও নেই। কত কঠিন তাদের মুখের কথা। তারা যা বলে তা তো সবই মিথ্যা।” (১৮:৪ – ৫)
وَ قَالُوا اتَّخَذَ اللّٰهُ وَلَدًا ۙ سُبْحٰنَہٗ ؕ بَلْ لَّہٗ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ ؕ کُلٌّ لَّہٗ قٰنِتُوْنَ بَدِیْعُ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ ؕ وَ اِذَا قَضٰۤی اَمْرًا فَاِنَّمَا یَقُوْلُ لَہٗ کُنْ فَیَکُوْنُ
“তারা বলে, আল্লাহ সন্তান গ্রহণ করেছেন। তিনি তো এসব কিছু থেকে পবিত্র, বরং নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলে যা কিছু রয়েছে সবই তার আজ্ঞাধীন। তিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের উদ্ভাবক। যখন তিনি কোন কার্য সম্পাদনের সিন্ধান্ত নেন, তখন সেটিকে একথাই বলেন, ‘হয়ে যাও’ তৎক্ষণাৎ তা হয়ে যায়।” (২:১১৬ – ১১৭)
وَ قَالَتِ الْیَهُوْدُ عُزَیْرُۨ ابْنُ اللّٰهِ وَ قَالَتِ النَّصٰرَی الْمَسِیْحُ ابْنُ اللّٰهِ ؕ ذٰلِكَ قَوْلُهُمْ بِاَفْوَاهِهِمْ ۚ یُضَاهِـُٔوْنَ قَوْلَ الَّذِیْنَ كَفَرُوْا مِنْ قَبْلُ ؕ قٰتَلَهُمُ اللّٰهُ ۚ۫ اَنّٰی یُؤْفَکُوْنَ
“ইহুদীরা বলে ‘ওযাইর আল্লাহর পুত্র’ এবং নাসারারা বলে ‘মসীহ আল্লাহর পুত্র’। এ হচ্ছে তাদের মুখের কথা। এরা পূর্ববর্তী কাফেরদের মত কথা বলে। আল্লাহ এদের ধ্বংস করুন, এরা কোন উল্টা পথে চলে যাচ্ছে?” (৯:৩০)
وَ قَالُوا اتَّخَذَ الرَّحْمٰنُ وَلَدًا لَقَدْ جِئْتُمْ شَیْئًا اِدًّا تَكَادُ السَّمٰوٰتُ یَتَفَطَّرْنَ مِنْهُ وَ تَنْشَقُّ الْاَرْضُ وَ تَخِرُّ الْجِبَالُ هَدًّا اَنْ دَعَوْا لِلرَّحْمٰنِ وَلَدًا وَ مَا یَنْۢبَغِیْ لِلرَّحْمٰنِ اَنْ یَّتَّخِذَ وَلَدًا اِنْ کُلُّ مَنْ فِی السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ اِلَّاۤ اٰتِی الرَّحْمٰنِ عَبْدًا
“তারা বলে: দয়াময় আল্লাহ সন্তান গ্রহণ করেছেন। নিশ্চয় তোমরা তো এক অদ্ভুত কান্ড করেছ। হয়তো এর কারণেই এখনই নভোমন্ডল ফেটে পড়বে, পৃথিবী খন্ড–বিখন্ড হবে এবং পর্বতমালা চূর্ণ-বিচূর্ণ হবে। এ কারণে যে, তারা দয়াময় আল্লাহর জন্যে সন্তান আহ্বান করে। অথচ সন্তান গ্রহণ করা দয়াময়ের জন্য শোভনীয় নয়। নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলে কেউ নেই যে, দয়াময় আল্লাহর কাছে দাস হয়ে উপস্থিত হবে না।” (১৯:৮৮ – ৯৩)
وَ جَعَلُوْا لِلّٰهِ شُرَكَآءَ الْجِنَّ وَ خَلَقَهُمْ وَ خَرَقُوْا لَہٗ بَنِیْنَ وَ بَنٰتٍۭ بِغَیْرِ عِلْمٍ ؕ سُبْحٰنَہٗ وَ تَعٰلٰی عَمَّا یَصِفُوْنَ بَدِیْعُ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ ؕ اَنّٰی یَکُوْنُ لَہٗ وَلَدٌ وَّ لَمْ تَکُنْ لَّہٗ صَاحِبَۃٌ ؕ وَخَلَقَ کُلَّ شَیْءٍ ۚ وَ هُوَ بِکُلِّ شَیْءٍ عَلِیْمٌ
“……তারা অজ্ঞতাবশতঃ আল্লাহর জন্যে পুত্র ও কন্যা সাব্যস্ত করে নিয়েছে। তিনি পবিত্র ও সমুন্নত, তাদের বর্ণনা থেকে। তিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের আদি স্রষ্টা। কিরূপে আল্লাহর পুত্র হতে পারে, অথচ তাঁর কোন সঙ্গী নেই ? তিনি যাবতীয় কিছু সৃষ্টি করেছেন। তিনি সব বস্তু সম্পর্কে সুবিজ্ঞ।” (৬:১০০ – ১০১)
قَالُوا اتَّخَذَ اللّٰهُ وَلَدًا سُبْحٰنَہٗ ؕ هُوَ الْغَنِیُّ ؕ لَہٗ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَ مَا فِی الْاَرْضِ ؕ اِنْ عِنْدَکُمْ مِّنْ سُلْطٰنٍۭ بِهٰذَا ؕ اَتَقُوْلُوْنَ عَلَی اللّٰهِ مَا لَا تَعْلَمُوْنَ
“তারা বলে, আল্লাহ পুত্র সাব্যস্ত করে নিয়েছেন – তিনি পবিত্র, তিনি অমুখাপেক্ষী। যাকিছু রয়েছে আসমান সমূহে ও যমীনে সবই তাঁর। তোমাদের কাছে তার কোন সনদ নেই। কেন তোমরা আল্লাহর প্রতি মিথ্যারোপ কর -যার কোন সনদই তোমাদের কাছে নেই।” (১০:৬৮)
وَاَنَّه تَعٰلٰى جَدُّ رَبِّنَا مَا اتَّخَذَ صٰحِبَةً وَّلَا وَلَدًا
“এবং (আরও বিশ্বাস করি যে,) আমাদের পালনকর্তার মহান মর্যাদা সবার উর্ধ্বে। তিনি কোন পত্নী গ্রহণ করেননি এবং তাঁর কোন সন্তান নেই।” (৭২:৩)
لَوْ اَرَادَ اللّٰهُ اَنْ یَّتَّخِذَ وَلَدًا لَّاصْطَفٰی مِمَّا یَخْلُقُ مَا یَشَآءُ ۙ سُبْحٰنَہٗ ؕ هُوَ اللّٰهُ الْوَاحِدُ الْقَهَارُ
“আল্লাহ যদি সন্তান গ্রহণ করার ইচ্ছা করতেন, তবে তাঁর সৃষ্টির মধ্য থেকে যা কিছু ইচ্ছা মনোনীত করতেন, তিনি পবিত্র। তিনি আল্লাহ, এক পরাক্রমশালী।” (৩৯:৪)
مَا اتَّخَذَ اللّٰهُ مِنْ وَّلَدٍ وَّ مَا كَانَ مَعَہٗ مِنْ اِلٰہٍ اِذًا لَّذَهَبَ کُلُّ اِلٰہٍۭ بِمَا خَلَقَ وَ لَعَلَا بَعْضُهُمْ عَلٰی بَعْضٍ ؕ سُبْحٰنَ اللّٰهِ عَمَّا یَصِفُوْنَ
“আল্লাহ কোন সন্তান গ্রহণ করেননি এবং তাঁর সাথে কোন মাবুদ নেই। থাকলে প্রত্যেক মাবুদ নিজ নিজ সৃষ্টি নিয়ে চলে যেত এবং একজন অন্যজনের উপর প্রবল হয়ে যেত। তারা যা বলে, তা থেকে আল্লাহ পবিত্র।” (২৩:৯১)
قُلْ اِنْ كَانَ لِلرَّحْمٰنِ وَلَدٌ ٭ۖ فَاَنَا اَوَّلُ الْعٰبِدِیْنَ سُبْحٰنَ رَبِّ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ رَبِّ الْعَرْشِ عَمَّا یَصِفُوْنَ
“বলুন, দয়াময় আল্লাহর কোন সন্তান থাকলে আমি সর্ব প্রথম তার ইবাদত করব। তারা যা বর্ণনা করে, তা থেকে নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের পালনকর্তা, আরশের পালনকর্তা পবিত্র।” (৪৩:৮১ – ৮২)
وَ قُلِ الْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِیْ لَمْ یَتَّخِذْ وَلَدًا وَّ لَمْ یَکُنْ لَّہٗ شَرِیْکٌ فِی الْمُلْكِ وَ لَمْ یَکُنْ لَّہٗ وَلِیٌّ مِّنَ الذُّلِّ وَ كَبِّرْهُ تَکْبِیْرًا
“(হে নবী) বলুন: সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর যিনি না কোন সন্তান রাখেন, না তাঁর সার্বভৌমত্বে কোন শরীক আছে এবং যিনি দুর্দশাগ্রস্ত হন না, যে কারণে তাঁর কোন সাহয্যকারীর প্রয়োজন হতে পারে। সুতরাং আপনি সসম্ভ্রমে তাঁর মাহাত্ম্য বর্ণনা করতে থাকুন।” (১৭:১১১)
اَمِ اتَّخَذَ مِمَّا یَخْلُقُ بَنٰتٍ وَّ اَصْفٰکُمْ بِالْبَنِیْنَ وَ اِذَا بُشِّرَ اَحَدُهُمْ بِمَا ضَرَبَ لِلرَّحْمٰنِ مَثَلًا ظَلَّ وَجْهُہٗ مُسْوَدًّا وَّ هُوَ كَظِیْمٌ
“তিনি কি তাঁর সৃষ্টি থেকে কন্যা সন্তান গ্রহণ করেছেন এবং তোমাদের জন্য মনোনীত করেছেন পুত্র সন্তান? তারা রহমান আল্লাহর জন্যে যে কন্যা–সন্তান বর্ণনা করে, যখন তাদের কাউকে তার সংবাদ দেয়া হয়, তখন তার মুখমন্ডল কালো হয়ে যায় এবং ভীষণ মনস্তাপ ভোগ করে।” (৪৩:১৬ – ১৭)
আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কারো অদৃশ্যের জ্ঞান নেই
وَعِنْدَه مَفَاتِحُ الْغَيْبِ لَايَعْلَمُ هَاۤ اِلَّا هُوَ وَيَعْلَمُ مَا فِى الْبَرِّ وَالْبَحْرِ وَمَا تَسْقُطُ مِنْ وَّرَقَةٍ اِلَّا يَعْلَمُهَا وَلَاحَبَّةٍ فِىْ ظُلُمٰتِ الْاَرْضِ وَلَا رَطْبٍ وَّلَا يَابِسٍ اِلَّا فِىْ كِتٰبٍ مُّبِيْنٍ
“তাঁর কাছেই অদৃশ্য জগতের চাবি রয়েছে। এ গুলো তিনি ব্যতীত কেউ জানে না। স্থলে ও জলে যা আছে, তিনিই জানেন। কোন পাতা ঝরে না; কিন্তু তিনি তা জানেন। কোন শস্য কণা মৃত্তিকার অন্ধকার অংশে পতিত হয় না এবং কোন আর্দ্র ও শুস্ক দ্রব্য পতিত হয় না; কিন্তু তা সব প্রকাশ্য গ্রন্থে রয়েছে।” (৬:৫৯)
আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা হলেন ‘আলীমুল গায়েব’ । গায়েবী জ্ঞান অর্থাৎ সকল অদৃশ্য বস্তু বা বিষয় সম্পর্কিত জ্ঞানের একমাত্র অধিকারী তিনি । তিনি ছাড়া অন্য কেহ গায়েবের খবর জানে না, যদি না তিনি গায়েবী বিষয়ে কাউকে অবহিত করেন । মহান আল্লাহর ইচ্ছা ব্যতীত নবী–রসূলগণও গায়েবের খবর জানেন না । গণক বা জ্যোতিষী মানুষের ভাগ্য বিষয়ে যেসব ভবিষ্যৎ বাণী প্রদান করে তা ভূয়া ও আন্দাজ–অনুমান নির্ভর । আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন ‘ঈমান বিল গায়েব’ বিষয়ে যা উল্লেখ করেছেন তার প্রতিটিতে বিশ্বাস স্থাপন করা মু’মিনের জন্য বাধ্যতামূলক। এসব বিষয়ে কোন যুক্তি–তর্ক, আন্দাজ–অনুমান গ্রহণযোগ্য নয়। শুধুমাত্র একান্ত বিশ্বাস দ্বারাই এগুলোকে গ্রহণ করতে হবে। ঈমান বিল গায়েব’ এর বিষয়গুলো হলো: আল্লাহ্, তাঁর ফেরেশতা, আখিরাত, ক্বিয়ামত, পুনরুত্থান, বিচার দিবস, জান্নাত, জাহান্নাম, ইত্যাদি । এ বিষয়গুলো ঈমানের ছয়টি রুকনের অন্তর্ভুক্ত।
উপরোক্ত বিষয় সম্পর্কিত আয়াতগুলো নিম্নে উদ্ধৃত করা হলো:
اَلَّذِیْنَ یُؤْمِنُوْنَ بِالْغَیْبِ وَیُقِیْمُوْنَ الصَّلٰوۃَ وَ مِمَّا رَزَقْنٰهُمْ یُنْفِقُوْنَ وَالَّذِیْنَ یُؤْمِنُوْنَ بِمَاۤ اُنْزِلَ اِلَیْكَ وَمَاۤ اُنْزِلَ مِنْ قَبْلِكَ ۚ وَبِالْاٰخِرَۃِ هُمْ یُوْقِنُوْنَ
“যারা অদেখা বিষয়ের উপর বিশ্বাস স্থাপন করে এবং নামায প্রতিষ্ঠা করে। আর আমি তাদেরকে যে রুযী দান করেছি তা থেকে ব্যয় করে এবং যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে সেসব বিষয়ের উপর যা কিছু তোমার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে এবং সেসব বিষয়ের উপর যা তোমার পূর্ববর্তীদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে। আর আখেরাতকে যারা নিশ্চিত বলে বিশ্বাস করে।” (২:২-৩)
عٰلِمُ الْغَيْبِ فَلَا يُظْهِرُ عَلٰى غَيْبِه اَحَدًا اِلَّا مَنِ ارْتَضٰى مِنْ رَّسُوْلٍ فَاِنَّه يَسْلُكُ مِنْۢ بَيْنِ يَدَيْهِ وَمِنْ خَلْفِه رَصَدًا لِّيَعْلَمَ اَنْ قَدْ اَبْلَغُوْا رِسٰلٰتِ رَبِّهِمْ وَاَحَاطَ بِمَا لَدَيْهِمْ وَاَحْصٰى كُلَّ شَىْءٍ عَدَدًا
”তিনি অদৃশ্যের জ্ঞানী। পরন্ত তিনি অদৃশ্য বিষয় কারও কাছে প্রকাশ করেন না। তাঁর মনোনীত রসূল ব্যতীত। তখন তিনি তার অগ্রে ও পশ্চাতে প্রহরী নিযুক্ত করেন যাতে আল্লাহ তা’আলা জেনে নেন যে, রসূলগণ তাঁদের পালনকর্তার পয়গাম পৌছিয়েছেন কি না। রসূলগণের কাছে যা আছে, তা তাঁর জ্ঞান–গোচর। তিনি সবকিছুর সংখ্যার হিসাব রাখেন।” (৭২:২৬ – ২৮)قُلِ اللّٰهُمَّ فَاطِرَ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِ عٰلِمَ الْغَیْبِ وَالشَّهَادَۃِ اَنْتَ تَحْکُمُ بَیْنَ عِبَادِكَ فِیْ مَا كَانُوْا فِیْهِ یَخْتَلِفُوْنَ
“বলুন, হে আল্লাহ আসমান ও যমীনের স্রষ্টা, দৃশ্য ও অদৃশ্যের জ্ঞানী, আপনিই আপনার বান্দাদের মধ্যে ফয়সালা করবেন, যে বিষয়ে তারা মত বিরোধ করত ।” (৩৯:৪৬)
عٰلِمُ الْغَیْبِ وَالشَّهَادَۃِ ؕ وَهُوَ الْحَكِیْمُ الْخَبِیْر
“…… তিনি অদৃশ্য বিষয়ে এবং প্রত্যক্ষ বিষয়ে জ্ঞাত। তিনিই প্রজ্ঞাময়, সর্বজ্ঞ।” (৬:৭৩)
قَالَ اَلَمْ اَقُلْ لَّکُمْ اِنِّیْۤ اَعْلَمُ غَیْبَ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِ ۙ وَاَعْلَمُ مَا تُبْدُوْنَ وَمَا کُنْتُمْ تَکْتُمُوْنَ
“….. তিনি বললেন, হে আদম, ফেরেশতাদেরকে বলে দাও এসবের নাম। তারপর যখন তিনি বলে দিলেন সে সবের নাম, তখন তিনি বললেন, আমি কি তোমাদেরকে বলিনি যে, আমি আসমান ও যমীনের যাবতীয় গোপন বিষয় সম্পর্কে খুব ভাল করেই অবগত রয়েছি? এবং সেসব বিষয়ও জানি যা তোমরা প্রকাশ কর, আর যা তোমরা গোপন কর!’?” (২:৩৩)
اَعِنْدَہٗ عِلْمُ الْغَیْبِ فَهُوَ یَرٰی
“তার কাছে কি অদৃশ্যের জ্ঞান আছে যে, সে দেখে (ভবিষ্যৎ)? ” (৫৩:৩৫)
فَقُلْ اِنَّمَا الْغَیْبُ لِلّٰهِ فَانْتَظِرُوْا ۚ اِنِّیْ مَعَکُمْ مِّنَ الْمُنْتَظِرِیْنَ
“…… (হে নবী) বলে দিন, গায়েবের কথা আল্লাহই জানেন। আমিও তোমাদের সাথে অপেক্ষায় রইলাম।’.” (১০:২০)
قُلْ لَّاۤ اَقُوْلُ لَکُمْ عِنْدِیْ خَزَآئِنُ اللّٰهِ وَ لَاۤ اَعْلَمُ الْغَیْبَ وَ لَاۤ اَقُوْلُ لَکُمْ اِنِّیْ مَلَکٌ ۚ اِنْ اَتَّبِعُ اِلَّا مَا یُوْحٰۤی اِلَیَّ ؕ قُلْ هَلْ یَسْتَوِی الْاَعْمٰی وَ الْبَصِیْرُ ؕ اَفَلَا تَتَفَكَرُوْنَ
“আপনি বলুনঃ আমি তোমাদেরকে বলি না যে, আমার কাছে আল্লাহর ভান্ডার রয়েছে। তাছাড়া আমি অদৃশ্য বিষয় অবগতও নই। আমি এমন বলি না যে, আমি ফেরেশতা। আমি তো শুধু ঐ ওহীর অনুসরণ করি, যা আমার কাছে আসে। আপনি বলে দিনঃ অন্ধ ও চক্ষুমান কি সমান হতে পারে? তোমরা কি চিন্তা কর না ?” (৬:৫০)
قُلْ لَاۤ اَمْلِكُ لِنَفْسِىْ نَفْعًا وَّلَا ضَرًّا اِلَّا مَا شَآءَ اللهُ وَلَوْ كُنْتُ اَعْلَمُ الْغَيْبَ لَاسْتَكْثَرْتُ مِنَ الْخَيْرِ وَمَا مَسَّنِىَ السُّوْٓءُ اِنْ اَنَا اِلَّا نَذِيْرٌ وَبَشِيْرٌ لِّقَوْمٍ يُؤْمِنُوْنَ
“আপনি বলে দিন, আমি আমার নিজের কল্যাণ সাধনের এবং অকল্যাণ সাধনের মালিক নই, কিন্তু যা আল্লাহ চান। আর আমি যদি গায়বের কথা জেনে নিতে পারতাম, তাহলে বহু মঙ্গল অর্জন করে নিতে পারতাম, ফলে আমার কোন অমঙ্গল কখনও হতে পারত না। আমি তো শুধুমাত্র একজন ভীতি প্রদর্শক ও সুসংবাদদাতা ঈমানদারদের জন্য।” (৭:১৮৮)
ذٰلِكَ مِنْ اَنْۢبَآءِ الْغَیْبِ نُوْحِیْهِ اِلَیْكَ ۚ وَ مَا کُنْتَ لَدَیْهِمْ اِذْ اَجْمَعُوْۤا اَمْرَهُمْ وَ هُمْ یَمْکُرُوْنَ
“এগুলো অদৃশ্যের খবর, আমি আপনার কাছে প্রেরণ করি । আপনি তাদের কাছে ছিলেন না, যখন তারা স্বীয় কাজ সাব্যস্ত করছিল এবং চক্রান্ত করছিল ।” (১২:১০২)
وَ مَا كَانَ اللّٰهُ لِیُطْلِعَکُمْ عَلَی الْغَیْبِ وَلٰكِنَّ اللّٰهَ یَجْتَبِیْ مِنْ رُّسُلِہٖ مَنْ یَّشَآءُ ۪ فَاٰمِنُوْا بِاللّٰهِ وَرُسُلِہٖ ۚ وَاِنْ تُؤْمِنُوْا وَتَتَّقُوْا فَلَکُمْ اَجْرٌ عَظِیْمٌ
“…….আর আল্লাহ এমন নন যে, তোমাদিগকে গায়বের সংবাদ দেবেন। কিন্তু আল্লাহ স্বীয় রসূল গণের মধ্যে যাকে ইচ্ছা বাছাই করে নিয়েছেন। সুতরাং আল্লাহর ওপর এবং তাঁর রসূলগণের ওপর তোমরা প্রত্যয় স্থাপন কর। বস্তুতঃ তোমরা যদি বিশ্বাস ও পরহেযগারীর ওপর প্রতিষ্ঠিত থেকে থাক, তবে তোমাদের জন্যে রয়েছে বিরাট প্রতিদান ।” (৩:১৭৯)
ذٰلِكَ مِنْ اَنْۢبَآءِ الْغَیْبِ نُوْحِیْهِ اِلَیْكَ ؕ وَمَا کُنْتَ لَدَیْهِمْ اِذْ یُلْقُوْنَ اَقْلَامَهُمْ اَیُّهُمْ یَکْفُلُ مَرْیَمَ ۪ وَمَا کُنْتَ لَدَیْهِمْ اِذْ یَخْتَصِمُوْنَ
“এ হলো গায়েবী সংবাদ, যা আমি আপনাকে পাঠিয়ে থাকি। আর আপনি তো তাদের কাছে ছিলেন না, যখন প্রতিযোগিতা করছিল যে, কে প্রতিপালন করবে মারইয়ামকে এবং আপনি তাদের কাছে ছিলেন না, যখন তারা ঝগড়া করছিলো ।” (৩:৪৪)
تِلْكَ مِنْ اَنْۢبَآءِ الْغَیْبِ نُوْحِیْهَاۤ اِلَیْكَ ۚ مَا کُنْتَ تَعْلَمُهَاۤ اَنْتَ وَ لَا قَوْمُكَ مِنْ قَبْلِ هٰذَا ؕۛ فَاصْبِرْ ؕۛ اِنَّ الْعَاقِبَۃَ لِلْمُتَّقِیْنَ
“এটি গায়বের খবর, আমি আপনার প্রতি ওহী প্রেরন করছি। ইতিপূর্বে এটা আপনার এবং আপনার জাতির জানা ছিল না। আপনি ধৈর্য্যধারণ করুন। যারা ভয় করে চলে, তাদের পরিণাম ভাল, সন্দেহ নেই।” (১১:৪৯)
وَقَالَ الَّذِیْنَ كَفَرُوْا لَا تَاْتِیْنَا السَّاعَۃُ ؕ قُلْ بَلٰی وَرَبِّیْ لَتَاْتِیَنَّکُمْ ۙ عٰلِمِ الْغَیْبِ ۚ لَا یَعْزُبُ عَنْهُ مِثْقَالُ ذَرَّۃٍ فِی السَّمٰوٰتِ وَلَا فِی الْاَرْضِ وَلَاۤ اَصْغَرُ مِنْ ذٰلِكَ وَلَاۤ اَکْبَرُ اِلَّا فِیْ كِتٰبٍ مُّبِیْنٍ ٭ۙ
“কাফেররা বলে আমাদের উপর কেয়ামত আসবে না। বলুন কেন আসবে না? আমার পালনকর্তার শপথ-অবশ্যই আসবে। তিনি অদৃশ্য সম্পর্কে জ্ঞাত। নভোমন্ডলে ও ভূ–মন্ডলে তাঁর আগোচরে নয় অণু পরিমাণ কিছু, না তদপেক্ষা ক্ষুদ্র এবং না বৃহৎ-সমস্তই আছে সুস্পষ্ট কিতাবে।” (৩৪:৩)
قَالَ سُبْحٰنَكَ مَا یَکُوْنُ لِیْۤ اَنْ اَقُوْلَ مَا لَیْسَ لِیْ ٭ بِحَقٍّ ؕ اِنْ کُنْتُ قُلْتُہٗ فَقَدْ عَلِمْتَہٗ ؕ تَعْلَمُ مَا فِیْ نَفْسِیْ وَلَاۤ اَعْلَمُ مَا فِیْ نَفْسِكَ ؕ اِنَّكَ اَنْتَ عَلَّامُ الْغُیُوْبِ
“…… ঈসা বলবেন; আপনি পবিত্র! আমার জন্যে শোভা পায় না যে, আমি এমন কথা বলি, যা বলার কোন অধিকার আমার নেই। যদি আমি বলে থাকি, তবে আপনি অবশ্যই পরিজ্ঞাত; আপনি তো আমার মনের কথা ও জানেন এবং আমি জানি না যা আপনার মনে আছে। নিশ্চয় আপনিই অদৃশ্য বিষয়ে জ্ঞাত ।” (৫:১১৬)
یَوْمَ یَجْمَعُ اللّٰهُ الرُّسُلَ فَیَقُوْلُ مَا ذَاۤ اُجِبْتُمْ ؕ قَالُوْا لَا عِلْمَ لَنَا ؕ اِنَّكَ اَنْتَ عَلَّامُ الْغُیُوْبِ
“যেদিন আল্লাহ সব পয়গম্বরকে একত্রিত করবেন, অতঃপর বলবেন তোমরা কি উত্তর পেয়েছিলে? তাঁরা বলবেনঃ আমরা অবগত নই, আপনিই অদৃশ্য বিষয়ে মহাজ্ঞানী।” (৫:১০৯)